মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি - মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। পাশাপাশি, দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিমশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বৃহস্পতিবার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃণাল কান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপ- পরিচালক রেজাউল করিম। আবেদনে বলা হয়েছে, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। ধানমন্ডিতে তাঁর একটি ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে, যার দাম এক কোটি টাকা। আর পূর্বাচলে রয়েছে সাড়ে সাত কাঠার একটি প্লট। এর বাইরে মোহাম্মদপুরে মৃণাল কান্তির স্ত্রী নিলীমা দাসের নামে সাড়ে ১০ কাঠার ওপর একটি বহুতল ভবনের খোঁজ মিলেছে। তাঁর স্ত্রীর নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ১৯১ টাকার সঞ্চয়পত্র থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তার স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, ছোট ভাই সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছ উজ জামান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়া আফছু ও মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদুক।