কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট হয়ে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফার্মেসিতে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন, শামসুল আলম ।
এ বিষয়ে গত ২৮/৯/২০২৪ ইং তারিখে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়, অবৈধ সম্পদ এবং অবৈধ অর্থের অভিযোগও উঠে আসে।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে, উলিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হারুনুর রশিদ,এর নিকট ফার্মাসিস্ট শামসুল আলমের উপর আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই, কেউ আমাকে অভিযোগও করেননি, অভিযোগ করলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।
ডাক্তার পদবী ব্যবহার এর ক্ষেত্রে তিনি বলেন, শুধুমাত্র এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীগন
ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন ।
লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।
এই অনুসন্ধানের সূত্র ধরে গত ৬/১০/২০১৪ ইং তারিখে শাহজাহান আলী নামীয় একজন জৈনক ব্যক্তি, জনগণের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলিপুর, জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম, সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উলিপুর, এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ করা হয় ।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, এক মাস অতিক্রম হলেও সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেন নাই।
এ বিষয়ে জনাব শামসুল আলমের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, আগে আমি ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতাম, কিন্তু এখন চিকিৎসক ব্যবহার করি, উনাকে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তিনি বলেন আমার কোন বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নেই, আমি ১৯৯১ সালে যোগদান করি, ফার্মাসিস্ট হিসেবে ।
সেই থেকে অদ্যবধি আমি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসতেছি, কোন আইনি জটিলতা হয়নি, অতঃপর গত ১৮/৬/১৭ ইং তারিখে তৎকালীন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এ এইচ এম বোরহান উদ্দিন চৌধুরী সিদ্দিকী সাহেব আমাকে প্রেসক্রিপশন করার পারমিশন প্রদান করেন, তবে এ বিষয়ে তিনি কোন দলিল দেখাতে পারেননি ।
সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ হারুন অর রশিদ সাহেবকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন এখানে আমার কোন করণীয় নেই ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী, মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন বরাবর, এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর, যে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছি, আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, সত্যতা যাচাই করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো, কিন্তু এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, আমি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ সত্যতা যাচাই করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, এবং আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।