বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন ও ব্রিক্সস ফিল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী
রতন কুমার সাহা রেন্টুর নেতৃত্বে ১৫ সেপ্টেম্বর’২৪ সকালে একদল ভুক্ত সন্ত্রাসী আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে স্থানীয় বহুল পরিচিত ও সহজ সরল কাঠ মিস্ত্রি রোস্তম আলী গাঠু’র পুত্র জীবন ইসলাম (২৫) কে বাড়ী হতে তুলে এনে প্রধান আসামী খুনি রেন্টু সাহার পাম্প সংলগ্ন গোডাউন বর্তমান জেনারেটর রুম হিসাবে ব্যবহৃত,
সেখানে আটক রেখে হত্যাকারী গ্রুপের সদস্যরা জীবন ইসলাম কে শারীরিকভাবে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী একটি ভ্যানে উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বীরগঞ্জ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান, অপরাপর অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালেই হত্যাকান্ডে নিহত যুবক জীবন ইসলামের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য দিমেক হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ ঘটনায় গোটা পৌরসভা এবং প্রতিবেশী ইউনিয়নের লোকজন একতাবদ্ধ হয়ে রিন্টুসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর’২০২৪ সকালে হাজার হাজার জনতা লাশ নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ ও প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যপী রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
প্রশাসন আসামি রিন্টু সাহা এবং অন্যান্যদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস ও তাৎক্ষণিক তার পেট্রোল পাম্প বন্ধ (শীলগালা) করে দেন।
জনগনের প্রচন্ড চাপের মুখে হত্যাকান্ডের ৩২ ঘন্টা পর ১৬ সেপ্টেম্বর’২৪ থানায় প্রধান আসামী রিন্টু সাহা, পিচলা বাবু সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ১২ নম্বর হত্যা মামলার দায়ের করা হয়।
মাষ্টার নামীয় ১ জন আসামী কারাগারে আছেন মর্মে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম।
এসিল্যান্ড সহ অফিসার ইনচার্জ বিক্ষুব্ধ জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন রিন্টু সাহাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার পর কিংবা তিনি আদালতে আত্ম সমর্পণ করলেই পাম্প খুলে দেয়া হবে।
অর্থাৎ যতদিন খুনিদের কে আইনের আওতায় আনা হবে না,ততদিন পাম্প বন্ধ থাকবে।
কিন্তু কোন অদৃশ্য ক্ষমতা বলে কিংবা মোটা অংকের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে অথবা কোন এক ক্ষকতাধরের আঙ্গুলের ইসারায় রাতের আধারে খুনি রিন্টু সাহা আত্ম গোপনে থেকেই তার পাম্প চালু করে দিলেন, তাহলে প্রশাসন কি ভোল্ট পাল্টিয়ে দিল ?
অবাক বাংলাদেশ, হতবাক বীরগঞ্জ বাসী!
প্রশাসনের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় আবার ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে এলাকার মানুষ।
এ ব্যপারে গত ২৯ অক্টোবর’২৪ পাম্পের ম্যানেজার জীবন সাহা এবং রিন্টু সাহার ফার্ম ম্যনেজার নবাবের সাথে কথা হলে তারা জানান দীর্ঘ ৪২ দিন থেকে প্রশাসন অন্যায় ভাবে পাম্পটি বন্ধ করে রেখেছিল, আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পাম্পটি বীরগঞ্জ পৌরসভার প্রভাবশালী এক নেতার পরামর্শে ও নির্দেশে ২৮ অক্টোবর’২৪ রাত ৮ টায় চালু করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও সোস্যাল মিডিয়ায় জানা গেছে বাদির সাথে আসামিদের ৩০ লাখ টাকায় আপোষ মিমাংসা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের দিন থেকে এখন পর্যন্ত রেন্টু সাহার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে বিধায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নাই।
মামলার বাদি রোস্তম আলী গাঠুর মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
১৬ সেপ্টেম্বর’২৪ পাম্প বন্ধকারী সহকারী কমিশনার ভুমি বীরগঞ্জ দিপংকর বর্মন এবং অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা মোঃ আব্দুল গফুরের সাথে কথা তারা জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন চালু হয়েছে এ বিষয় কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।