টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের প্রতিমার বিশেষত্ব হলো, বড় মা কালী, এই কালীমাকে ফলের মালা দিয়ে পুজিত করেন, যা সারা দেশে দেখা যায় না, আপেল, ন্যাসপাতি, বেদানা প্রভৃতি ফল দিয়ে মায়ের মালা তৈরি করে মায়ের গলায় পরান। এই রীতি 49 বছর ধরে চলে আসছে।
আজ ১লা নভেম্বর শুক্রবার, টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব তাদের প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করেন , কিছু ছোট ছোট প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে।, তারা সকল প্রতিবন্ধীদের হাতে সামান্য উপহার এবং ব্যাচ উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন।
উপস্থিত ছিলেন, ক্লাবের সভাপতি রঞ্জিত সিং, সহ-সভাপতি শংকর ব্যানার্জী, যুগ্ম সম্পাদক সমীর কুমার সাহা, ছোট্টু লাল সাহা, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ রাজীব চক্রবর্তী, সৌমেন্দ্রনাথ সাহা সহ মহিলা সদস্যগণ ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা,
টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের এই পুজো একটু একটু করে ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করলো,, সকলের সহযোগিতায় এবং সকলের ভালোবাসায়, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে চলা,
এই পুজো কয়েকদিন, সকল এলাকাবাসী মহিলা ও শিশুরা আনন্দে যেমন মেতে থাকেন, তেমনি ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে, শুধু তাই নয় , দুস্থ মানুষদের হাতে কম্বল বিতরণ করেন, এছাড়াও প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন, পুজো কদিন থাকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, তবে এই প্রতিমা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী ভিড় করেন, কারণ এই ধরনের ফলের মালা দেখার জন্য।
টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, সমীর কুমার সাহা বলেন, আমরা যে জায়গাটায় পূজো করি, অন্য পরিবেশর মধ্যে ,অন্যান্য জায়গা থেকে একটু অন্যরকম। কারণ এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি থাকেন, তাদেরকে নিয়ে আমার পথ চলা, অনেক বাধা অতিক্রম করে এবং সকলকে মানিয়ে, সকলকে নিয়ে একসাথে চলতে চলতে আজ ৪৯ তম বর্ষে এসে পৌঁছেছি, সকলের আশীর্বাদ পেয়ে আমরা গর্বিত, শুধু তাই নয়, আমরা আরও গর্বিত, আমাদের পাশে সংবাদ মাধ্যম থাকায়, দুই বাংলার মেলবন্ধনে, এবং দৈনিক দুরন্ত বাংলার পরিচালনায়, আমাদের প্রতিমাকে বিশ্বজুড়ে প্রচার করায়, সাংবাদিক বন্ধুদের কাছেও কৃতজ্ঞ। দুই বাংলার সকল সাংবাদিক এবং মিডিয়াদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। রইল আমাদের ক্লাবের তরফ থেকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা, আজ সেরা প্রতিমার শিরোপা দুই বাংলার শক্তি সম্মান পেয়ে ,আরো আমাদের উৎসাহিত করল এগিয়ে চলার পথ দেখালো। তবে অন্যান্য পুজো থেকে আমাদের বড়মার পুজো রীতিনীতি একটু আলাদা, আমরা সেই রীতিনীতি মেনেই পূজোর আয়োজন করে থাকি। সবাই আসুন পুজো দেখুন,
আনন্দ করুন, কৃতজ্ঞতা জানাবো সিইএসসি, কলকাতা পুলিশ, ফায়ার বিগেডকে। জাহাদের সহযোগিতায় পুজো আনন্দমুখর হয়ে ওঠে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা