আজ ৬ই নভেম্বর বুধবার, রাত পোহালেই নদীর ঘাটে ঘাটে ভীড় জমাবে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষেরা পূজো দিতে, ছট পূজো হলো বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের বড় উৎসব, বাজনা বাদ্যি সহকারে পূজোত মেতে উঠবে, বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ভীড় জমাবে। এই ছট পূজো ২রা নভেম্বর থেকে শুরু হলেও, ৭ই নভেম্বর ৮ই নভেম্বর মূল উৎসব।
তাই সকলে ব্যস্ত বাজারে বাজারে কেনাকাটায়, বিক্রেতারা বিভিন্ন বাজারে কলার কাঁদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে সাজিয়ে বসে আছেন, বিক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন বাজারে বাজারে তাদের পুজোর উপকরণ কেনার জন্য।
কিন্তু ক্রেতারা কিনতে এসে মুখ থুবড়ে পড়ছেন, কলা কাঁদি থেকে শুরু করে ফলমূলের দাম শুনে, একটা কলা কাঁদির দাম ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। একটা নারকেলের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু, একটা গোটা আখের দাম ৫০ থেকে ৭৫ টাকা, আপেল ও নেশপাতি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি, একটা ঝুড়ি দেড়শ টাকা, দাম শুনে ক্রেতাদের মাথায় হাত।
ক্রেতারা জানালেন আগের বছর যে করাটা দিয়ে আমরা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় কিনেছি সেই কলাকাতেই এবারে ৫০০ টাকা দাম বলছে, প্রতিটা জিনিসের দাম প্রায় ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে, যাহার ফলে আমাদের বাজেট হিসাবের বাইরে চলে যাচ্ছে। এবারের ঠেকুয়ারো দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।, কিন্তু আমাদেরও কিছু করার নাই, গঙ্গা মাকে সন্তুষ্ট করতে হবে,
বিক্রেতারা জানালেন আমরা কি করবো, আমাদেরকেউ সুদূর নদীয়া থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। সেখানেই যেভাবে কলাকাঁদির দাম বলছে, আমরাও কিছুটা থমকে গিয়েছি কিনতে গিয়ে, যতটা জিনিস কিনে আনার দরকার ছিল, আমরা আনতে পারিনি টাকা কম পড়ায়। আগের বারের তুলনায় অনেকটাই কলা কাঁদি কম এনেছি। দিনে দিনে সব জিনিসের দাম এত বাড়ছে। খরচায় পোসাচ্ছে না।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা