ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কবিরকে হত্যা চেস্টার অভিযোগে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ২০০৮ সালে ঝালকাঠি ১ আসনে বি এন পি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল, ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. শাহাদাৎ হোসেন, ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপুসহ ১৯ জন নামধারীসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৮/২০ জনের নামে ঝালকাঠি সদর থানায় এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি সদর থানায় বাহক মারফত এজাহার জমা দিয়েছন ভিকটিম জাকির হোসেন কবির। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
এজাহারে জাকির হোসেন কবির দাবি করেন, গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আওয়ামীলীগের দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির হলরুমে গেলে রফিকুল ইসলাম জামাল ও এড. শাহাদাৎ হোসেনের নির্দেশে অপর আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপদেয়। উক্ত কোপ মাথার তালুতে লেগে মাংসকাটা জখম হয়।
লোকজন আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর তিনি আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরের অবস্থা গুরুতর দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল ঢাকায় রেফার্ড করেন। উক্ত হাসাপতালে ভর্তি হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো উন্নত চিকিৎসের জন্য শহীদ সরোয়ারদী হাসাপাতালে রেফার্ড কয়েন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে জাকির হোসেন কবির বাহক মারফত এজাহার ঝালকাঠি থানায় প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে ভিকটিম জাকির হোসেন কবির বলেন, এজাহার দায়ের করিতে চাই তাই লোক দিয়ে লিখিত কপি থানার ওসি না থাকায় তদন্ত ওসির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ সহ পুনরায় মারপিট ও খুন জখম হওয়ায় আশংকা বিদ্যমান দেখিয়া আমার জীবনের নিরপত্তার কথা চিন্তা করিয়া আমি নিজে না গিয়ে লোক দিয়ে এজাহার থানায় পাঠিয়েছি।
এবিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. শাহাদাৎ হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিক বার কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, এঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভিকটিম নিজে আসেনি, লোক দিয়ে লিখিত এজাহার কপি থানায় জমা দিছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামীর আল মাহমুদ
ঝালকাঠি।