আজ ,৭ ই নভেম্বর বুধবার, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে এবং সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের নেতৃত্বে, দুপুর সাড়ে বারোটায় একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে জমায়েত হয়ে, বেলা একটার সময় মিছিল করে সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেস ঘেরাও করেন। আর জি করের ঘটনাকে ঢিলেমি করা ও সঠিক তদন্তের দাবীতে এই প্রতিবাদ,
এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ, এছারা উপস্থিত ছিলেন আশুতোষ চ্যাটার্জি ও সুদীপ্ত মহাশয় সহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দলীয় কর্মী কংগ্রেস সদস্যরা।
আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কে সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছিলেন, কিন্তু ৯০ দিন পরেও সঠিক তদন্ত না হওয়ায় এবং তাদের সন্দেহ যে এটাকে নারোদা সারদা গরু চোর কয়লা চোরদের মতো ধামাচাপা দে ওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, দিদি ও মোদী দুজনে এক হয়ে আছে, এবং সিবিআই ২১২ পাতার প্রাথমিক চার্জসিটে শুধুমাত্র সঞ্জয়ের নাম উঠে আসছে , সঞ্জয়কে দোষী বলে উল্লেখ করেন । আমরা এটা কখনোই মেনে নিতে পারব না, শুধু আমরা নয়, সারাদেশের মানুষ সঠিক তদন্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দোষীদের শাস্তির দাবীতে, হাজার চেষ্টা করলেও আমরা ধামাচাপা হতে দেবোনা, তাই সিবিআই কে জানিয়ে দিতে চাই, আজকে শুধু ট্রেলার দেখুন, এরপর দেখাবো আসল ছবি। কীভাবে তদন্ত করাতে হয়।
আজ শুধু সিবিআইকেই ভৎসনা করলেন তা নয়, উপস্থিত যে সকল পুলিশ অফিসাররা ছিলেন তাদেরকেও ভৎসনা করলেন, তার সাথে সাথে, টম্যাটো, ডিম ও চায়ের কাপ ছুড়ে প্রতিবাদ জানালেন, বললেন এটাই আপনাদের প্রাপ্য, টালা ব্রীজের ওসি সবার সাথে আতত করে যা করেছেন তার চেয়ে বেশি লজ্জা কর কিছু নাই। তাই শুধু সিবিআই নয় আপনাদেরও ধিক্কার জানাই। এবং বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি এবং ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতে থাকেন ভেতরে ঢোকার জন্য।
এখানেই ক্ষান্ত হননি কংগ্রেস কর্মীরা, তারা গেটের সামনে সিবিআই অফিসারদের গাড়ি আসতেই বাধা দেন ,গাড়িকে ঢুকতে দেওয়া হয় না নিজাম প্লাসের ভেতরে, হুমকি দিয়ে বললেন এক্ষুনি এখান থেকে সরে যান, আপনাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অপদার্থ সিবিআই এতদিন লাগে তদন্ত করতে, এটা কি চুরি ডাকাতি হয়েছে, যে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে সময় লাগছে, এসি ঘরে বসে ,গদির উপর শুয়ে সরকারি টাকায় খাবার খেয়ে ঘুমাচ্ছেন নাকি, একটা জায়গার ঘটনাকে নিয়ে এতদিন ধরে টালবাহানা করছেন। আর দোষীরা বহাল তবিয়তের রয়েছে। আমরাও ছাড়ার বান্দা নয়, সঠিক তদন্ত করিয়ে ছাড়বো। দেখতে চাই দোষীরা কিভাবে ছাড়া পায়।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস কলকাতা।