1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
আবাসিক সুবিধা বঞ্চিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ শতাংশ ‌শিক্ষার্থী - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন ও মতবিনিময় কলকাতা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক সমিতির উদ্যোগে, অশালীন ভাষার বিরুদ্ধে- সাংবাদিক সম্মেলন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কপিলমুনিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পরিবেশ রক্ষায় ‘সাদা পাথর’-এর গুরুত্ব পুকুরের পাড় কেটে দেওয়ায় ভেসে গেল সব মাছ বারহাট্টায় বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা তেঁতুলিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহিণীর মৃত্যু সফলতার পথে সবুজ ছোঁয়া দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও বই বিতরণ গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন গুরুতর আহত পাইকগাছার তালতলা-গোয়ালবাথানে ৩ হাজার তালগাছ রোপন উদ্বোধন করলেন বাসস চেয়ারম্যান “প্রকৃতি দিয়েই প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে

আবাসিক সুবিধা বঞ্চিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ শতাংশ ‌শিক্ষার্থী

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

ববি প্রতিনিধি।

২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৬টি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বর্তমানে ২৫টি বিভাগে স্নাতক ও সমাজকর্ম ব্যতীত বাকি ২৪টি বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও কাটেনি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭৭ শতাংশ বঞ্চিত হচ্ছে আবাসিক সুযোগ থেকে। সিটের অপর্যাপ্ততায় আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও হলে উঠতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫টি বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৮০১৬ জন। ২০২২-২৩ বর্ষে ৭৭ আসন ফাঁকা রেখে নতুন আরো ভর্তি হয়েছে ১৫৫৩ জন শিক্ষার্থী। ৭৭ আসনে ভর্তি সম্পন্ন হলে যার সংখ্যা দাড়াবে ১৬৩০ জন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের ও মেয়েদের দুটি করে মোট চারটি হলে আসন সংখ্যা রয়েছে ১২০২ টি। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলে হলে ২৮৮টি, শেরে বাংলা হলে ৩০০টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ৩১৪টি, শেখ হাসিনা হলে ৩০০টি এবং আসন রয়েছে। যার মধ্যে মাস্টার্স জোন বাদে বাকি আসনগুলোতে দুজন করে শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ পায়। সেই হিসেবে চারটি হলে মোট ১৮৬৭ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে ।

অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যার হিসেবে শতকরা মাত্র ২৩ জন শিক্ষার্থী আবাসিকতার সুযোগ পাচ্ছে। বাকি ৭৭ জন শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে মেস ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আবাসন সংকটের কারণে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়তে হয় তাদের। প্রতিমাসেই সিট ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচরাচর সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে ৪টি হল রয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অপ্রতুল। চারজনের রুমে আটজনে থেকেও মোট শিক্ষার্থীর নগন্য সংখ্যক এখানে আবাসনের সু্যোগ পায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত হলকেন্দ্রীক শিক্ষার্থীদের মানবিক এবং সামাজিক গুণাবলী বিকশিত হয়। হল ব্যবস্থাপনার অপ্রতুলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংষ্কৃতি গড়ে উঠার ক্ষেত্রেও ব্যবধান এখানে সুস্পষ্ট। সার্বিক দিক বিবেচনা করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে আরো আবাসিক হল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের অন্যতম চাওয়া এবং এটি সময়ের দাবী।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সুকান্ত বৈদ্য বলেন, আবাসিক সংকট এর অনেক কারণ থাকলেও প্রধান কারণ হিসেবে আমি মনে করি,প্রশাসন স্বজ্ঞানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ক্লাস রুম না থাকার পরেও তারা সব কিছু জেনে বুঝে সিট সংখ্যা বাড়ানো। যে চারটা হল আছে তাতে সক্ষমতার থেকেও দ্বিগুন শিক্ষার্থী ইতমধ্যে অবস্থান করে,যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই বললেই চলে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হল এ সিট না পেয়ে বাইরে থাকতে বাধ্য হয়,যেখানে নিরাপত্তা, খাবার পানি ইস্যু সাথে বাড়ির মালিক দের ভাড়া ডাকাতি তো আছেই। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত সরকারি বেসরকারি যেকোনভাবে হোক অতিদ্রুত এই সমস্যা সমধানে কাজ করা।

গনিত বিভাগের মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আবাসন সংকটের কারণে পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে সমস্যা হয়। অনেকের আর্থিক সংকট থাকায় বাইরে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে, যা শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই, এই সংকট সমাধানে সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রয়োজন।”

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের তুলনায় হল সংখ্যা কম হওয়ায় আবাসিক সমস্যা আছে। সরকার যদি নতুন হল অনুমোদন দেয় সেক্ষেত্রে আবাসিক সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি। অতিদ্রুত আবাসিক হল ও ভবন নির্মাণ করার প্রচেষ্টা আমাদের আছে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান সংকট রয়েছে। বিভিন্ন সংকট নিরসনে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি