কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং
মানবিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এলেন দৈনিক ‘সুখবর’ পত্রিকার সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র দাশ।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক এ রক্তদান করলেন। মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র দাশ। রক্ত পেয়ে স্বস্তিঃ ফেরে মৃতপ্রায় মুমূর্ষু রোগীর পরিবারের লোকজনদের।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের দুমকিপূর্ব পাড়ার বধু যমুনা সরদার।গত প্রায় ১০ দিন আগে আচমকা ব্রেনস্ট্রোক হয় ওই বধুর।পরিবারের লোকজন ওই বধুকে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন।বধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা সিসিইউতে স্থানান্তরিত করেন।কোমায় চলে যায় বধু। পরবর্তীতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগের চিকিৎসকদের তৎপরতায় বধু সুস্থ হতে শুরু করেন।ইতিমধ্যে প্রয়োজন হয় রক্তের। ক্যানিং মহকুমা ব্লাড ব্যাংকে রক্ত না মেলায় মহা ফাঁপরে পড়ে বধুর পরিবারের লোকজন।রক্ত দিতে না পারলে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।হতাশ হয়ে পড়েন বধুর পরিবারের লোকজন।এমন ঘটনার খবর জানতে পেরে মুমূর্ষ রোগীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ‘সুখবর’ পত্রিকার সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র দাশ। শনিবার সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজীর হয়ে মুমূর্ষ রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় রক্তদান করেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বধুর পরিবারের লোকজন।
বধুর ছেলে শিবশঙ্কর সরদার জানিয়েছেন, ‘মায়ের জন্য প্রথম দিকে এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন ছিল।অনেক কষ্টে কলকাতা থেকে জোগাড় করেছিলাম। পরবর্তীতে আরো এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। কোথাও রক্ত পাওয়া যায়নি। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র দাশ ঘটনার কথা জানতে পেরে রক্তদান করেন।মা প্রাণে বাঁচে। সাংবাদিক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। ’
মুমূর্ষ রোগীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র দাশ জানিয়েছেন, ‘সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ রয়েছে।সেই দায়িত্বোধ পালন করার জন্য মৃতপ্রায় মুমূর্ষ রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে রক্তদান করেছি। আগামী দিনেও এমন প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকবো।