নাজিম উদ্দীন,কেশবপুর, যশোরঃ
কেশবপুরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের উত্যক্তে বাঁধা দেওয়ায় বখাটেদের হামলায় আহত মিজানুর রহমান মুকুল (৩০) নামে এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ছাড়া যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে গ্রামবাসী। মিজানুর রহমান মুকুল কেশবপুর সদর ইউনিয়নের মূলগ্রামের মৃত আয়ুব আলী সানার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুকুল বলেন, উপজেলার মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে গত ৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে পৌরসভার ভোগতী এলাকার সাকিব হোসেন, শিহাব হোসেন, ইমন হাসান, সারিফ হোসেন, আব্দুর সাফা, তানভীর হোসেন, রাফিদ, আবু রায়হান, রকি পৃথক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। তাদের বাঁধা দিলে তার (মিজানুর রহমান মুকুল) উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করতে উদ্যত হয়। বিষয়টি দেখে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে তিনি কেশবপুর শহরের হাসপাতাল রোডে তার নিজস্ব ভবনের চলমান কাজ দেখতে গেলে ওই বখাটেরাসহ আরও কয়েকজন সেখানে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মুকুল ওই বখাটেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নিজাম উদ্দীন, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা আশরাফ আলী সানা, মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, শিক্ষক নাজিম উদ্দীনসহ শতাধিক নারী-পুরুষ।