আজ ১২ই নভেম্বর মঙ্গলবার, ঠিক দুপুর আড়াইটায়, দলীয় রাজনীতি মুক্ত ময়দান গড়তে, ফুটবলার গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী করলেন। তাহারা বলেন ময়দান নিয়ে রাজনীতি করতে দেব না, ময়দান কি ভাগ হতে দেব না। তাই তিনটি দল একত্রিত হয়ে ময়দান বাঁচানোর ডাক দিলেন।
যেভাবে সারাদেশের মানুষ তিলোত্তমার বিচার চাইছে, আমরাও ময়দান বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাব, মাঠকে কোনোভাবেই ভাগ হতে দেব না, তাই আজ আমরা মোহনবাগান মোহামেডান সহ অন্যান্য দল একত্রিত হয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশে শামিল হয়েছি, যদি যদি ময়দানকে রাজনীতিতে পরিণত করে এবং ভাগ করার চেষ্টা করে, আমরা কিভাবে খেলা বয়কট করাতে হয় জানা আছে, একটা কথা মনে রাখা দরকার, খেলার দর্শকরা ও খেলাপ্রেমীরাই পারে মাঠ কে বাঁচিয়ে রাখতে খেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে, আর খেলার মূল বিষয় হলো শরীরকে সুস্থ রাখা,
যদি খেলার মাঠকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই পটাশপুর কামদুনি থেকে জয়নগর এবং আরজি করের মতো ঘটনা ঘটাতে চায়, আমরা বুঝিয়ে দেব এখানে রাজনীতি চলে না, কিভাবে রোধ করতে হয়। তাই আজ আমরা এই গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদে নেমেছি।
এবং একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা আজ সবার সামনে উঠে আসলো ,যিনি ৩৪ বছর ধরে মোহনবাগানের সদস্য ছিলেন ,সেই গৌতম ব্যানার্জি। তিনি আজ নাকি তার সদস্য পদ জমা করে দিয়েছেন। কারণ তিনি রাজনীতি পছন্দ করেন না খেলাধুলাকে নিয়ে, যারা রাজনীতি করে তার সদস্য থাকা তাহার কাছে অসম্মান বলে মনে হচ্ছে। তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এই নোংরামকে প্রতিবাদের রূপ দিলেন। সাথে সাথেই বিভিন্ন সদস্যরাও মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুললেন। যেভাবে তিলোত্তম আর বিচার চাইছে, একইভাবে মাঠ বাঁচানোর বিচার তারা চায়।
আজ তারা রাস্তা জুড়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে শপথ নিলেন মাঠ বাঁচানোর, এবং তিলোত্তমাও বিচার পাক,
কয়েকটি শ্লোকের মধ্য দিয়ে, প্রতিবাদের ঝড় গর্জে উঠলো।
ময়দানে রংবাজী চলে চিৎকার চলে।
সমর্থকদের একে অপরকে আওয়াজ দেওয়া চলে, কিন্তু রাজনীতি চলে না।
তিলোওমার ভয় নাই ময়দান ছাড়ি নাই,
তিন প্রধানের এক স্বর জাস্টিস ফর আর জি কর।
কর্তৃপক্ষ নিপাত যাক, সমর্থকরা বেঁচে থাক ।
খেলার মাঠ দিচ্ছে ডাক তিলোত্তমা বিচার পাক।
আজ সব দলের সদস্যরা বলেন, আমরা আজও থেমে নাই যেভাবে তিলোত্তমার বিচারের জন্য রাস্তায় নেমেছি, এই খেলার মাঠ বাঁচানোর জন্য আমরা সমস্ত দল একত্রিত হয়ে আন্দোলন চালাবো। রাজনীতি করতে দেব না, ভাগ হতে দেব না। তাই আজ কিংবদন্তি খেলোয়াড় গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে প্রতিবাদ শুরু করলাম। প্রায় 200 থেকে আড়াইশো সদস্য জমায়েত হয়েছিলেন এই মূর্তির সামনে।
রিপোর্টার , শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা