1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
নওগাঁর মারমা ও মহাদেবপুর উপজেলার মল্লিকপুর-ধুনজইল মোড় পর্যন্ত এখন মরণফাঁদ দেখার কেউ নেই - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সৈয়দ মোর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কম্বল ও খাবার বিতরণ কালিহাতীতে “তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামীর ৩ বছরের কারাদন্ড মনপুরায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষনাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিপলেট বিতরন আশাশুনিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ডুমুরিয়ায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে তরুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ”- শীর্ষক কর্মশালা বিনিনিরাইলে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশে সারের কোনো সংকট নেই, ন্যায্যমূল্যে সার ও বীজ পাবে কৃষক- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা

নওগাঁর মারমা ও মহাদেবপুর উপজেলার মল্লিকপুর-ধুনজইল মোড় পর্যন্ত এখন মরণফাঁদ দেখার কেউ নেই

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁ সদর উপজেলার মারমা মল্লিকপুর থেকে মহাদেবপুর উপজেলার ধঞ্জইল হাট হয়ে মাদ্রাসার ব্যাক হয়ে হাড়িপাড়ার পুকুরের পাড়ী ধুসে গেছে এবং নলবল এলাকায় ছোট-বড় গর্তে পরিণত হয়েছে এই ধুনঞ্জইল মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং ও ইট-বালু উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ৩০-৪০ গ্রামের মানুষের চলাচলে ভোগান্তি ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি তাঁদের।সরেজমিন দেখা গেছে, মল্লিকপুর স্কুল থেকে ধঞ্জইল হাট ধুনজইল মোড়পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটাই কার্পেটিং উঠে গেছে। এমনকি ইটের খোয়া ও বালুর মিশ্রণ পর্যন্ত উঠে গেছে। ফলে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সড়কের জোড়া ব্রিজ থেকে ধঞ্জইল মোড় পর্যন্ত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের বিকল্প কোনো পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে এ সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। এমনকি নানা সময়ে রোগী নিয়েও এ সড়ক দিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে অন্তঃসত্ত্বাদের মারাত্মক সমস্যা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে মল্লিকপুর থেকে ধঞ্জইল সড়কে পাকাকরণের কাজ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এরপর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। চলাচলকারী যাত্রীদের অনেকে আহতও হচ্ছেন।
মল্লিকপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই একটি মাত্র সড়ক দিয়ে মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ও নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল, কীর্ত্তিপুর ছাড়াও বদলগাছী এবং মাতাজি এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। সড়কের বেহাল অবস্থায় এখন সেই যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। একই এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, সড়কের করুণ অবস্থার কারণে ভারী যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে পরেছে। এতে গ্রাম থেকে শহরে মালামাল পরিবহন করতে কষ্টসাধ্য ও খরচ পড়ছে বেশি। স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই ভাঙা সড়ক দিয়েই জরুরি প্রয়োজনে দিন-রাতে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্ঘটনায় পড়েছি বেশ কয়েকবার। রোগীদের চলাচলে ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়।’
পথচারী শফিক মন্ডল বলেন, এ সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলেও ঝুঁকি থাকে। যানবাহনে দুর্ঘটনা তো প্রতিদিনই হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, অনেক দিন আগে এ সড়কে সংস্কারকাজ হয়েছিল। সেই কাজও ভালো মানের হয়নি। কিছুদিন পরই সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। যাত্রী ও যান চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছেই। ভোগান্তি নিরসনে সড়কটির দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেরাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একে তো দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকা, অন্যদিকে বেহাল অবস্থার কারণে রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও টহল দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সমন্বয় সভায় একাধিকবার বলা হয়েছে তবুও কোনো কাজ হয়নি। নওগাঁ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার। এতে প্রথম পর্যায়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে। সড়কটি মেরামতে শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি