লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় সাথী আক্তার (২৭)
পিতা মোঃ মজনু মিয়া মোছাঃ ফিরোজা বেগম গ্রামঃ দাইনা চৌধুরী ডাকঘরঃ বাঘিল বাজার উপজেলাঃ সদর থানা
জেলাঃ টাঙ্গাইল। মেয়ের দাবী ১০-১১ বছর ধরে সম্পর্কের পর ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল জেলার স্থানীয় কাজী দিয়ে বিয়া রেজিস্ট্রি হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৩)
পিতা মৃত ফজলুল হক দক্ষিণ ঘনেশ্যাম মিয়া পাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে যুবকের বাড়িতে অনশন করেছে টাঙ্গাইলের মেয়ে সাথী আক্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক সন্ধ্যা ৮.০০ টার দিকে থেকে ওই তরুণী শফিকুল এর বাড়িতে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করে। পরে তরুণীকে দেখে শফিকুল ইসলাম তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী সকল কিছু বিবেচনা করে তরুণী ওই বাড়িতেই অবস্থান করতে আশ্বস্ত করেন।
অনশনকারী তরুণীর বলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে এখানে জীবন দিব। মেয়ের দাবী প্রথমে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে গত ২০১৮ সালে আমাদের এই সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। কিন্তু আমরা গরীব হওয়ায় শফিকুল ইসলামের বাবা এ বিয়েতে রাজি ছিলনা। অনুষ্ঠান করে তুলে নিবে বলে আমার মুরুব্বীদের এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রায় ৩-৪ বছর হয়েছে এখনো তুলে নেয়নি। হঠাৎ কয়েকদিন আগে শফিকুল ইসলাম বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে । এমন তথ্যের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল থেকে আমি কালিগঞ্জ অবস্থান করছি।
তরুণী মিয়া পাড়ার শফিকুলের চাচা এক যুবক শামীম মিয়া তাকে বাপ দায় দিয়ে বিভিন্ন সময় ছেলের বাসায় আসতেন মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শফিকুল ঘুরতেন এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবক শফিকুল ইসলাম কালিগঞ্জ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে ও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনা করছেন এমনটাই জানা গেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
এ প্রসঙ্গে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল হক কে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি পরবর্তী সার্কেল এসপি হাতীবান্ধা মহোদয় কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।