শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
শেখ হাসিনা পালিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি অপরাধী:
বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় খুলনার ডুমুরিয়া কলেজ ময়দানে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথী এ কথা বলেন তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নামে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুইশ’ টির বেশী মামলা হয়েছে। যে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা বিচার দিয়ে আমাদের নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়েছিলেন।
ট্রাইব্যুনালে আপনাদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। শেখ পরিবার ২লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছ।
আপনারা তো মাওলানা নিজামী, আল্লামা সাঈদী ও মুজাহিদদের বিচার করতে গিয়ে মিথ্যা গাল-গল্প, মিথ্যা এজহার, মিথ্যা স্বাক্ষী, মিথ্যা বাদি, মিথ্যা বিচারক বানিয়ে আপনারা ফাঁসি দিয়েছেলন। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি কোথায় থাকবেন, কি করবেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? তিনি আরও বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী। আপনি যদি সৎ সহাসী হন, এতো উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে থাকেন। তাহলে ৫ আগস্টের পরে আপনারা পালিয়ে গেলেন। ৩০০ আসনের এমপি একজনকেও খুঁজে একটি পাওয়া গেল না। পালালেন কেন? পালায় কারা? পালায় চোর, ডাকাত ও খুনিরা। যারা চেঞ্জে সত্যের পথে থাকে তারা কখনো পালায় না। অপনারা পালিয়ে প্রমাণ করেছেন। ভের আপনারা অপরাধ করেছেন। জাতির কাছে ক্ষমা চান। তাদের কারণে গত ১৫ বছর যাবত জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বাড়ি-ঘরে থাকতে পারেনি। এ বাড়ি, ৫০ সে বাড়ি, আগানে-বাগানে, বিলে-খালে পালিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। ভাঙা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অপনাদের হাতে দেশের মানুষের গণতন্ত্র- স্বাধীনতা, মূল্যবোধ, ভোটাধিকার কোন কিছুই নিরাপদ ছিলো না। মানুষ ১৪, ১৮ ও ২৪ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আপনারা ভেবেছিলেন কতৃত্ববাদী শাসন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। বিএনপি-জামায়াতসহ সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী দল আন্দোলনে পুলিশ দিয়ে, মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার করে, হত্যা করে আন্দোলনকে বার বার ৫ ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুন ছাত্র সমাজ, রংপুরের আবু সাঈদের মতো হাসিনার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে বললো, হাসিনা তুমি পরাজিত। বাংলাদেশের আবু সাঈদরা বিজয়ী হয়ে গেলো। রক্তের স্রোতের ওপর দাড়িয়ে আমরা মুক্তির স্বাধ গ্রহণ করছি। এই আন্দোলনে ১৭০০ মানুষ জীবন দিলো। ৪০ হাজার লোক আহত হয়েছে। হাত, পা, চোখ, কান হারিয়ে অনেকেই চিকিৎসা করাতে পারছেনা। এই আত্মদান ও রক্তদানের ঋণ আমাদেরকে শোধ করতেই হবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায়
কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের ইসলামীর আমির মাওলানা মুখতার হুসাইন,
এসময় বক্তব্য দেন
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
কেন্দ্রীয় কর্ম পরিকল সদস্য ও সহকারী অঞ্চল পরিচালক, খুলনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলমী মাওলানা এমরান হুসাইন আমীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খুলনা জেলা শাখা।
মুন্সী মিজানুর রহমান
কেন্দ্রীয় মজলিশে আরা সদস্য ও আমীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খুলনা জেলা শাখা।
মুন্সী মিজানুর রহমান
সহ সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খুলনা জেলা শাখা।
অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন
গাজী মোঃ সাইফুল্লাহ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ডুমুরিয়া উপজেলা উত্তর শাখা।
ও মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য রেখেছেন।
কর্মী সম্মেলন শেষে একটি বিশাল র্যালি বের করে উপজেলা চত্বরে সামনে শেষ করেন।।
শেখ মাহতাব হোসেন।
ডুমুরিয়া খুলনা।