স্টাফ রিপোর্টার (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চালিতাডাঙ্গা বেগম বশীরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে সম্প্রতি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। মনগড়া সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চালিতাডাঙ্গা বেগম বশীরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় কাজিপুরের হাতে গোনা কয়েকটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের একটি। প্রতিষ্ঠানের অতিত আরও সমৃদ্ধ ছিল, তখন জেলার সেরা দশে অবস্থান ছিল বিদ্যালয়টির। বর্তমানেও এর ফলাফল মুটামুটি আশাব্যঞ্জক। বছর শেষে এসএসসি ফলাফল, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তিই তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।’
প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান ও সাবেক সরকার প্রধানের পলায়ন পরবর্তী সময়ে দেশে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ করলাম আমার বিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষক, একজন অফিস সহকারি, তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কয়েক দিন ধরে অনুপস্থিত। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে বিদ্যালয়ে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি এবং তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করি। একই সাথে অনুপস্থিতিদের সাথে অদ্যাবধি যোগাযোগ অব্যাহত রাখছি। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে ওই শিক্ষক কর্মচারীরা বিদ্যালয়ে আসবেন বলে জানান।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দুজন সাংবাদিক বিদ্যালয়ে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে আমি তাদের বিষয়টি বলি। পরে নিউজে আমার ও আমার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু আপত্তিকর বাক্য ব্যবহার করেন তারা। যার কারণে আমি ও আমার বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। যা বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী সকলের জন্য অপমানকর ও অসম্মান জনক। স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিদ্যালয়ের মানসম্মান ক্ষুন্ন করতেই সাংবাদিকদের দিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। আমি ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এর আগে বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের চড়ুইভাতি অনুষ্ঠান নিয়েও ওই সাংবাদিকেরা অপপ্রচার চালিয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের অনুপস্থিতি কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। বিদ্যালয় সাময়িকভাবে এই বিষয় সাফার করলেও সবাই মিলে তা রিকভার করছি। সবার সাথে যোগাযোগ রাখছি। যথা নিয়ম অনুসরণ করে বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী ও বর্তমান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবাই সোচ্চার ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন। এজন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে এলাকার মুরব্বিগনের সহযোগিতা প্রসংশার দাবিদার।