1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
বিনা চাষে রসুন লাগাতে ব্যস্ত চলনবিল অঞ্চলের কৃষকেরা - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সৈয়দ মোর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কম্বল ও খাবার বিতরণ কালিহাতীতে “তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামীর ৩ বছরের কারাদন্ড মনপুরায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষনাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিপলেট বিতরন আশাশুনিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ডুমুরিয়ায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে তরুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ”- শীর্ষক কর্মশালা বিনিনিরাইলে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশে সারের কোনো সংকট নেই, ন্যায্যমূল্যে সার ও বীজ পাবে কৃষক- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা

বিনা চাষে রসুন লাগাতে ব্যস্ত চলনবিল অঞ্চলের কৃষকেরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মাহবুবুর রহমান, চলনবিল প্রতিনিধি:শস্য ভান্ডারখ্যাত দেশের বৃহত্তর বিল চলনবিল। আর এ বিল জুড়ে পানি নামার সাথে সাথে শুরু হয়ছে বিভিন্ন ফসল চাষ। এখন বিলে শুরু হয়েছে বিনাচাষে রসুনের আবাদ। রসুনের বীজ রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে চলনবিলাঞ্চলের নারী-পুরুষ। এখন কৃষক হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপন করছেন।দিন দিন কাদামাটিতে রসুন আবাদে আগ্রহ বাড়ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, বিলে পানি নামার সাথে সাথে ফাঁকা জমিতে নরম কাদামাটিতে বিনাচাষে রসুন রোপনের ধুম পড়েছে। চলনবিলাঞ্চে সর্বোচ্চ অর্থকরী ফসলের মধ্যে বিনাচাষে রসুনচাষ অন্যতম। বিনাচাষে রসুনের বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি মৌসুমে এলাকার কৃষকরা রসুন চাষে আগ্রহ বাড়ছে, ঝুঁকছেন বেশি বেশি রসুন চাষে।

তাড়াশ উপজেলার কাঁটাবাড়ি, নাদোসৈয়দপুর, বিন্নাবাড়ী, চরহামকুড়িয়াসহ এলাকায় দেখা যায়, নারী-পুরুষ মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে নরম কাদা মাটিতে রসুনের কোয়া রোপন করছেন। এ উপজেলায় এখন চলছে রসুন রোপনের ভরা মৌসুম। ধুম পরেছে এ চাষে।

বিনাচাষে উৎপাদন পদ্ধতিঃ বিল থেকে পানি নেমে গেলে পলি জমা কাদা মাটিতে বিনা হালে সারিবদ্ধভাবে  রসুনের কোয়া রোপন করা হয়। রোপন শেষে ধানের নাড়া (খড়) বিছিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এর আগে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ কেজি টিএসপি, ২৫ কেজি পটাশ, ২০ কেজি জিপশাম ও ২ কেজি বোরন সার প্রয়োগ করা হয়। রোপনের ২৫-৩০ দিন পর বিঘা প্রতি ১৫-২০ কেজি ইউরিয়া সার দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হয়। ৫০ দিন পর আবার দ্বিতীয় দফা ১০-১৫ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। রোপনের ১২০/১৩০ দিন পর রসুন উত্তোলনের করা যায়।

উপজেলার কাঁটাবাড়ি গ্রামের কৃষক মেহেদি হাসান জানান,  বিনাহালে দুই বিঘা জমিতে রসুন লাগিয়েছি। সে আরো বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষ করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। তিনি আশা করছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২৫-৩০ মন রসুন পাবেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। চরহামকুড়িয়া গ্রামের মোতালেব হোসেন জানান, বিনা চাষে দেড় বিঘা জমিতে রসুন রোপন করছেন। সেও আশা করছেন ভালো ফলন ও দাম বেশি পাবেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাড়াশে এলাকায় বর্ষার পানি নামার সাথে সাথে কাদা মাটিতে কৃষক বিনাচাষে রসুন আবাদ করছেন। রসুন চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর এ আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি