# ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম অর্থ যোগান ও অস্ত্র যোগান দাতা।
# ছাত্র আন্দোলনের সময় যোগ দেয়া ছাত্রকে জবাই করে হত্যা সহ একাধিক হুমকি।
# এলাকায় মাদকসহ সকল অপরাধের সম্রাজ্য।
# দখলবাজি যেন নিত্যদিনের অভ্যাস।
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি নুরুল আবছার।
পেশকার পাড়ার আতঙ্কের নাম রুহুল কাদের নামটা যেন সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ংকর একটি নাম, রুহুল কাদের গ্রুপের প্রধান কাদের যেন অন্যতম একজন মাফিয়া, যার নেতৃত্বে চলতো পুরো পেশকার পাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার সকল ধরনের সন্তাসী কর্মকান্ড, কিশোর গ্যাং, মানব প্রচার, গুম, হত্যা, ছিন্তাই, ভূমিদস্যু থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড।
পেশকার পাড়া এলাকায় তার বাহিনীর অস্ত্রের ঝন ঝনানিতে আতংক বিরাজ করতো জনমনে। উম্মুক্ত ভাবে অস্ত্র নিয়ে এলাকার প্রতিটি স্থানে বিচরণ থাকতো এই রুহুল কাদের।
বলছিলাম কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড় পেশকার পাড়া এলাকার আবুল কাশেম পুত্র রুহুল কাদের কথা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রুহুল কাদের সেই বছরখানেক আগে বড় বাজারে একটি শুটকির দোকানের কর্মচারি হিসেবে কাজ করতো, চাকরির আড়ালে গোপনে চালিয়ে যেতো খুচরা ইয়াবার ব্যবসা কিছু দিনের ব্যবধানে হয়ে যায় কোটিপতি।
ধাপে ধাপে এখন সেই ইয়াবা থেকে শুরু করে বর্ডার ক্রস অবৈধ মালামাল এবং অস্ত্র ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ গডফাদার বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যে সেই পেশকার পাড়া এলাকার একাধিক অসাহায় পরিবারের জোরপূর্বক জমি দখল করার অভিযোগও পাওয়া যায়, প্রতিনিয়ত অস্ত্র হাতে নিয়ে অসহায় পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।
সর্বশেষ স্বৈরাচার সরকার পতনের যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদেরকে এলাকায় প্রকাশ্যে ও মোবাইলে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ছাত্রদের ওপর দফায় দফায় হামলা ও অর্থ যোগান এবং অস্ত্র যোগানদাতার অন্যতম কারিগর এই রুহু রুহুল কাদের।
আওয়ামী লীগের ৪নং ওয়ার্ড়ের সাংগঠনিক সম্পাদক তার ক্ষমতা আকাশচুম্বী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে তার দহরমমহরম সম্পর্ক সেই সুবাদে নানা সময় মাদকের চালান, অস্ত্র ব্যবসা, ও দখলবাজিতে ভাড়াটে গুন্ডা হিসেবে কাজ করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
রুহুল কাদের অনেক সময় বড় বাজারে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে হুমকির মুখে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়।
রুহুল কাদের একাধারে আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে নানা অপরাধে লিপ্ত থাকত। তার বিরুদ্ধে অপহরণ,হত্যা, ঘুম,খুন, মুক্তি পণ আদায়, দখল বাজির মামলা থেকে শুরু করে একাধিক মামলাও রয়েছে। তবে সে নিজেকে ছদ্মবেশে নিরপরাধ হিসেবে চলতে চেষ্টা করে।
রুহুল কাদের কে গ্রেফতার করায় পেশকার পাড়ার স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে,এবং তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি সকল প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, উক্ত এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।