হৃদয় হাসান (যশোর)
যশোরে সরদার ট্রাভেলস’র যাত্রীবাহি একটি বাস চালকের সহকারী বাপ্পি সরদার (২৫) খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। তাকে খুন করেছে সরদার ট্রাভেলস’র আরেকটি বাসের হেলপার রানা সরদার (১৯)। তারা দুজনই লোহাপট্টি পতিতাপল্লীর সাদিয়া আক্তার পপির প্রেমে পড়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সেই ক্ষোভ থেকে বাপ্পিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন রানা সরদার। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের একদল চৌকষ ফোর্স প্রধান খুনি ও তাদের প্রেমিকা পতিতা পপিকে গ্রেফতার করেছেন।
শনিবার বিকেল ও রাতে রানা সরদার ও পপিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা হত্যার দায় স্বীকার করেন। হত্যায় ব্যবহৃত চাকু পুলিশের হাতে তুলে দেয় রানা। পপিও দু’জনের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) ডিবি পুলিশের একাধিক সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। দায় স্বীকার করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত রানা সরদার যশোর সদরের কচুয়া ইউনিয়ের কচুয়া গ্রামের মৃত আরিফ সরদারের ছেলে।
এরআগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিহত বাপ্পি সরদারের পিতা মোঃ ইদ্রিস বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে সরদার ট্রাভেলস’র (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৯৭৯৮ নম্বর প্লেট) বাসটির চালক ও সুপারভাইজার মনিরুদ্দিন ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নিয়ে গাড়ি মনিহার এলাকায় পার্কিং করে চলে যান। বাসে থেকে যান হেলপার বাপ্পি সরকার। রাতের কোনো এক সময় একই কোম্পানির আরেকটি গাড়ির হেলপার রানা বাসের ভেতর গিয়ে বাপ্পিকে এলোতাপাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সটকে পড়েন। শনিবার সকালে চালক ও সুপারভাইজার এসে দেখতে পান বাসের একটি জানালা খোলা। ভেতরে পড়ে থাকতে দেখেন বাপ্পির ক্ষত-বিক্ষত লাশ।