শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় খর্ণিয়া ইউনিয়নে রানাই চহেড়া সুইস গেটে ৩০ হর্সপাওয়ারের ০৪ টি মটর চালু হলো।
বিল সিঙ্গার সকল কৃষক ও জনগণের পক্ষ থেকে খুলনা জেলা প্রশাসক মহোদয়, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিএডিসি,পানি উন্নয়ন বোর্ড,ও বিদ্যুৎ বিভাগের সকল কর্মকর্তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য।
উল্লেখ্য ডুমুরিয়ার উপজেলায় জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে বিল শিংগার অঞ্চলের জরুরি ব্যবস্থা নিতে পারলে বিলের শেষ রক্ষা হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ডুমুরিয়া বিল শিংগা সহ ৬টি বিলের বি এ ডিসির উদ্যোগে বিল শিংগা ৫টি সহ ১০উচ্চক্ষমতার পানি সরবরাহের পাম্প চালু হলে দ্রুত পরিস্থির উন্নতি ঘটবে। সেই সাথে সাথে এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে সুইজ গেটের সামনে থেকে পলি অপসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিল শিংগায় উচ্চক্ষমতার ৫টি পানি সরবরাহের পাম্প বসালে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে হবে বলে এলাকার সচেতন মহল মন্তব্য করেন ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ দিদার হোসেন বলেন বিল শিংগায় উচ্চক্ষমতার ৪টি পানি সরবরাহের পাম্প বসানো হয়েছে।অতি সত্বরে আরো ১টি পাম্প বসানো হবে।
কিছু কিছু জায়গা কচুরিপানা দিয়ে আটকানো। পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেই। আমরা এখন খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি।
গত তিন দিনের ভারি বর্ষণে নিজের ঘেরের লক্ষ লক্ষ টাকার গলদা চিংড়ি পানিতে ভেঁসে যাওয়ায় এভাবে নিজের সর্বনাশ এবং অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করছিলেন ডুমুরিয়া থানাধীন চহেড়া গ্রামের বিল শিংগার মাছ চাষী মোঃ রফিকুল মোড়ল। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে তার ঘের থেকে কয়েক লক্ষ টাকার
গলদা চিংড়ি পানিতে ভেসে যাওয়ায় পাগল প্রায় মোঃরফিকুল মোড়ল।
ভারী বর্ষণে বিল শিংগা ,চহেড়া,টিপনা ,মিকশিমিল,মৌজার সহস্রাধিক মাছ চাষীর ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেঁসে গেছে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি এবং সাদা মাছ। ঘেরের মাছ ভেঁসে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে এ সকল মাছ চাষীরা।
রানাই গ্রামের মোঃ জিয়াউর রহমান। বিল বিল শিংগা অন্যতম বড় একজন মাছ চাষী। আমাদের ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে বলেন, “এক সময় এই বিল শিংগা আমাদের জন্য খুব একটা আশীর্বাদের জায়গা ছিল। এখন যে পরিস্থিতি হইছে, বিগত দুই বছর ধরে, এটা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন বলেন, দুর্ভিক্ষ বলেন এইরকম একটা ব্যাপার হয়ে গেছে। আমরা এখানে যারা মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল, আমরা সবাই পানিতে প্লাবিত। অনেক ক্ষতি হইছে। হাজার হাজার হেক্টর জমির মাছ এখন ফুটফুটে পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উন্মুক্ত বিলে মানুষ মাছ শিকার করছে আর মাছ চাষীরা কেঁদে মরতিছে। এক কথায় কান্না করছে। বিল শিংগা প্লাবিত হওয়ার ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার নিজেরও তিনটা ঘের প্লাবিত হইছে। কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ভেঁসে গেছে। এখানে সরকারি কিছু চিংড়ি মাছের প্রকল্প আছে। সেগুলোও প্লাবিত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারি প্রকল্পগুলোতে মাছ দিল, খাবার দিল, কিন্তু তারা অবশেষে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা করল তিনি বলেন, এ জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে বিগত দিনে যারা ক্ষমতাসীন ছিলেন, যারা ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন তারা কখনও পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারটা মাথায় রাখিনি। কখনও তারা শিংগার বিলের দিকে তাকিয়ে দেখেনি। এখন সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি আমাদের দান খয়রাত বা যাকাত লাগবে না। আমাদের একটাই দাবি বিল পানির নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
শেখ মাহতাব হোসেন।
ডুমুরিয়া খুলনা।