মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি - মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন এর বিরুদ্ধে ক্ষমতারপ্রভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল,পালবাড়ি ভাংচুর লুটপাট টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করার নানা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে সুশাসন সন্ত্রাসী কায়েম অপকর্ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মাধ্যমে মিরকাদিম পৌরসভায় শাহিনের নেতৃত্বে নৃশংস ফিরোজ, ঝলক, জিল্লু কয়েকটি রাজনৈতিক কৌশলে খুনের কারিগর হিসেবে সয়লাব করেন তিনি । প্রশাসনের আড়ালে গডফাদার ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন কিশোর গ্যাংয়ের তৈরি করা কারখানা গড়ে তুলেন তার নানার আবু বক্কর মৃধার বাড়িতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের নানা অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন এর পরিবার ও রাজনৈতিক দলের অভিভাবক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ এর পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কয়েকটি খুনের মামলার আসামি এজাহারভুক্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে গডফাদাররা।
উল্লেখ্য ; গত ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন,তার পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন ও মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীরা।আগেরদিনই তারা মোবাইল ফোন ও সাক্ষাতে এই নির্দেশ পান।ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক চত্বরে গুলিতে নিহত কয়েক জনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দলের এজাহারভুক্ত কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০২৪ গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদালত ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মামলার ঘটনায় আসামি জামিন না দেওয়ার হুশিয়ার দিলেন ছাত্র সমাজ এসময় আন্দোলনকারীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, ‘তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে আসামিদের গ্রেপ্তারের সার্বক্ষণিক অভিযান চেষ্টা চলছে।’