মোঃ আফতাবুল আলম
রাজশাহী মহানগরীতে জাকির হোসেন বিটন (৪৬) নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে মোসাঃ সাইকা খাতুন শিল্পী (৩৮) নামে প্রতারণায় শিকার এক নারী সংবাদ সম্মেলন করে জাকিরের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিল্পী নগরীর কুমারপাড়া এলাকার মো সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
আজ সোমবার (১৮ই নভেম্বর) রাজশাহীর শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকায় অবস্থিত বিভাগীয় প্রেসক্লাব রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী বলেন, জাকিরের সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকার পর আমার কাছ থেকে সে বিভিন্ন সময়ে কৌশলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এছাড়াও গত ২২ নভেম্বর ২০২১ তারিখে নগরীর রাজপাড়া থানা কয়েরদাড়া এলাকার এক অজ্ঞাত বাসাতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে একজন অপরিচিত দাঁড়িওয়ালা লোককে দেখিয়ে বলে এই ব্যক্তিটি কাজী , সে আমাদের বিবাহ পড়াইবে। দাঁড়িওয়ালা লোকটি একটি সবুজ রঙের কাগজে আমার এবং জাকিরের স্বাক্ষর নেয় এবং কালমা পড়িয়ে বলে তোমাদের মধ্যে শরীয়া মতে বিবাহ হইলো।
ভুক্তোভোগী ঐ নারী বলেন, জাকির মালেশিয়ায় পিএইচডি করতে গিয়ে অসুস্থতার কথা বলে আমার থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেয় এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে টাকা নিয়েছে। যার ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। এবং সে আইসিটি আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে।
আমি এসব বিষয়ে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বোয়ালিয়া আমলী আদালত, রাজশাহীতে মামলা করলে ( মামলা নং ৮১৭ সি/ ২০২৩ বোয়ালিয়া) মামলার তদন্তভার বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দেয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক (পিবিআই) আমাকে ফোন করে মামলার প্রমাণাদি নিয়ে দেখা করতে বলে। আমি তার কথামত মামলার সকল প্রমাণাদি নিয়ে দেখা করি। সে আমাকে কোন প্রকার মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ না করে বিজ্ঞ আদালতে আমার বিপক্ষে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করে।
পরবর্তীতে আমি পিবিআই এর দেওয়া মিথ্যা তদন্তের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করি। বিজ্ঞ আদালত আমার দাখিল করা নারাজিটি গ্রহণ করে এবং রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা বিভাগকে ( ডিবি) দায়িত্ব দেয়। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এসআই রহমান কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। আমি এসআই রহমানকে একাধিকবার ফোন করলে আমার ফোন রিসিভ করেনি। পূর্বের ঘটনার মতোই আমার সাথে ঘটে যাওয়া সম্পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা না শুনেই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় এসআই রহমান ।
এ বিষয়ে জানার জন্য মামলার বিবাদি জাকির হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাকির হোসেন ফোন রিসিভ করেননি ।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখার এসআই রহমান বলেন, বাদী শিল্পী খাতুন ৪৯৩ ধারায় আদালতে মামলাটি করেছেন যার কোনো সঠিক প্রমাণাদি আমাকে দেখাতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।