মোস্তাক আহমেদ (বাবু) রংপুর।
রংপুর বিভাগের পীরগাছা উপজেলার পাকার মাথা অনন্ত রাম গ্রামে,উপজেলা পরিষদ এতিমখানা নামে ১৯৮৫ সালে রাজ পরিবারের বংশধর শ্রী,অসীম কুমার চৌধুরী,রাজ বাড়ী পাকারমাথায় এতিমদের নামে ২একর ৪শতক জমি দান করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মৃত,শাহ মোঃ মিজানুর রহমান,এতিমখানার সভাপতি থাকা কালীন। উপজেলা পরিষদ এতিমখানার নাম বাদ দিয়ে,মৃত হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ,উনার মায়ের নামে,এতিমখানার নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে এতিমখানাটি মজিদা খাতুন নামে,পরিচিতি লাভ করে। এতিমখানাটি কিছু দিন পরে মৃত, শাহ মোঃ মিজানুর রহমান চালাতে ব্যর্থ হওয়ায়,তিনি একটি বিদেশি সংস্থার,একজন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে,মজিদা খাতুন এতিমখানাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন। সেই প্রতিনি- ধির পরিচয় হল,তিনি একজন সুদান দেশের বাসিন্দা তার নাম,নুরেলদীন ইব্রাহিম মোঃ ইয়াহিয়া সুদান ওরফে (সুদানী) তাকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মৃত,শাহ মোঃ মিজানুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যানী ক্ষমতা বলে,তিনি সুদানীকে একটি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে পায়ার অফ এ্যাটাের্নি করে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন। তারপর থেক সুদানী সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছে। সুদানী পরিচাল -ক বিদেশি সংস্থার সহায়তায়,চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ( ০৩টি শ্রেণিকক্ষ) এবং(২) তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট (২টি অফিস কক্ষ) ও একটি মসজিদ সহ (০৮কক্ষ বিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টার)নির্মাণ করেন। ও পরবর্তীতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সরো জমিনে গিয়ে জানা যায়:: হটাৎ করে মৃত শাহ মোঃ মিজানুর রহমান অসুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকায় যান। কিন্তু দুঃখের বিষয়,বাসায় ফেরার পথে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে তার ছেলে উপজেলা চেয়ার -ম্যান,আবু নাছের শাহ মোঃ মাহবুবুর রহমান মাহবুব এতিম খানাটির পরিচালক সুদানীকে না জানিয়ে,কুটকৌশলের মাধ্যমে নিজেই এতিমখানাটির সভাপতি হন। এবং নিজ দলীয় কিছু লোক দিয়ে কমিটি গঠন করেন,পরে পরিচালক সুদানীকে তাহার বাবার মত তিনিও নিজে নোটারী পাবলি- কের মাধ্যমে পাওয়ার অফ এ্যাটাের্নি প্রদান করেন,এতিম খানার পরিচালক সুদানীকে। এবং সে সময় কেয়ারটেকার মোঃ আব্দুল জলিলকে নিয়োগ দেয়া হয়। কেয়ারটেকার ছিল খুবই ধুরন্ধর ব্যক্তি। তিনি এতিমখানার বিভিন্ন খাত থেকে আশা আয় দেখে,লোভে পড়ে যান। এবং সুদানীকে এখান থেকে সরানোর জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাছের শাহ মোঃ মাহবুবার রহমান মাহবুবের নিকট সুদানী সম্পর্কে কু-মন্ত্রণা দিয়ে কান ভারী করতে থাকেন। একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সুদানী,সাবেক পীরগাছা উপ- জেলা চেয়ারম্যান মাহবুবের ইটভাটা থেকে ইট ক্রয় করে এবং কিছু টাকা বাকি পড়ে যায়। পরবর্তীতে কোয়ারটেকার আব্দুল জলিল মিয়া সেই টাকাকে ইস্যু করে,উপজেলা চেয়া -রম্যান মাহবুবের কান আরো ভারী করতে থাকেন,ইতিমধ্যে করোনা মহামারী দেখা দিলে লকডাউনের কারণে এতিমদে- রকে তাদের নিজ ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেই সময় সু- যোগ সন্ধানী মোঃ জলিল মিয়া,পরিচালক সুদানী-কে বলেন বাকি ইটের টাকা গুলো দিতে হবে।পরে পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান শহ মোঃ মাহবুবার রহমানকে সুদানীর বিরুদ্ধে কান মন্ত্রণা দিয়ে ক্ষিপ্ত করে তোলেন।জলিল মিয়া,এক পর্যা -য়ে ক্ষিপ্ত হয়ে,উপজেলা চেয়ারম্যান শহ মোঃ মাহবুবার এতিমখানাটি তেলাবদ্ধ করে সুদানী-কে মৌখিক ভাবে বিদায় দেন। সুদানী চলে যাওয়ার পর উক্ত এতিমখানায় কেয়ারটেকার আব্দুল জলিল মিয়া,আবাদি গাছ কর্তন, পুকুরের মাছ চাষ,এতিমদের খেলার মাঠে নেপালিয়ান জাতের ঘাস চাষ সহ এতিমদের থাকার রুমে গরুর খামার তৈরি করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাহবুবের নির্দে- শে ১৭,বৎসর ধরে এতিমখানার সম্পদ নিজের সম্পত্তি হিসেবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। এবং সেখানে রাত্রি বেলায়,বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। এতে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য যে ঃ বেশ কিছু দিন পরে পরিচালক সুদানী বাকি টাকা পরিশোধ করার জন্য ফিরে আসেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমানের নিকট আসলে,তিনি সুদানীকে বলেন,আমি থানার ওসির মাধ্যমে টাকা নিব। পরে সুদানী থানায় টাকা পরিশোধ করতে গেলে,সে সময়- কার ওসি মোঃ মাসুমুর রহমানকে টাকা বুঝিয়ে দিলে,তিনি একটি স্ট্যাম্পে সুদানীকে সহি করতে বলেন। তিনি বাংলা লেখা পড়তে না পারায়। সুদানী বলেন কিসের সহি এমন প্রশ্ন করায়,ওসি মোঃ মাসুমুর রহমান বলেন,টাকা পরিশোধ করলেন তার প্রমাণ। সহি হওয়ার পর,ওসি মাসুমুর রহমান পরিচালক সুদানীকে সেই স্ট্যাম্পের ফটো কপি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন। আপনি এখন চলে যান,আপনার চুক্তির সময় শেষ,আপনি আর এতিমখানায় ঢুকতে পারবেন না। ঢুকলে আপনাকে প্রশাসন দিয়ে ধরে আনা হবে। এই ধরনের হুমকি প্রদান করেন পরিচালক সুদানীকে। এলাকার সকল পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে এতিমখানাটি দখল মুক্ত করেছেন বলে যানা যায়। এবং মজিদা খাতুন এতিমখানার দানকৃত সম্প- ত্তি সরকারি দেবত্তর সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত সুদানী নুরেল -দীন ইব্রাহিম মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে আবারো ফিরিয়ে আনা হোক। কারন তিনি দীর্ঘদিন সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসলেও সাবেক,পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহাবুব নিজ ক্ষমতা অপব্যবহার করে শুধুমাত্র জোরপূর্বক উক্ত এতিমখানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই তিনি এতিমখানার নামে দানকৃত দেবত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বিক্রির পাঁয়তারা শুরু করেন। তিনি ইতিমধ্যে সভাপতি হিসেবে নিজ নামে খতিয়ান তৈরি করেছেন,যার নাম্বার,৮৩২৪/২০১৭,যাহার ডিপি নং,৪৭৮৩, সৃজনপূর্বক মালিকানা দাবি করছেন তিনি। এতিমখানাকে গোচারণ ভূমি সহ গবাদি পশুর খামারে পরিণত করেছেন। এছাড়া কাতার দুবাই ভিত্তিক বিদেশি সংস্থা হতে,যে সাহায্য নির্মিত ভবন সহ আসবাবপত্র গাছপালা। এতিমদের নামে থাকা জমি বিশাল ক্ষমতার অপব্যবহার স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি এবং দীর্ঘদিন ধরে এতিম খানায় বিদেশি অর্থায়নে বরাদ্দ- কৃত অর্থ,উপবৃত্তি জোর করে ভোগ দখল সহ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। সাবেক চেয়ারম্যানের শাহ,মোঃ মাহাবুব ও তার কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে, পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন এতিমখানাটি যেহেতু উপজেলা পরিষদের নামে সেহেতু এতিমখানার নতুন কমিটি গঠন করে সরকারি ভাবে এতিমখানাটি পরিচালনা করা হবে বলেও জানান। এবং পীরগাছা উপজেলা থানা শাখার আহবায়ক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ও পীরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আফসার আলী এ বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।