1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
ডুমুরিয়া নদী বাঁচাতে টিআরএম জোয়ারাধার বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নাই - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রগতির কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় পতিত সরকারের দোসরদের জড়িতের অভিযোগ ঐশ্বরিক চেতনায় চিত্তবান মানুষ বিনির্মানে সুফিজমের বিকল্প নেই; সুফিবাদী ফোরামকে চবি উপাচার্য মুজিবকোট পুড়িয়ে পদত্যাগ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত এবং এর প্রায়োগিক দিক নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত ঝালকাঠিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘ ২৮ মাস পর মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন সহকারী শিক্ষক আন্দোলনে দৃষ্টিশক্তি হারানো শাহীনকে বিজিবির ১ লক্ষ টাকা সহায়তা আরএমপি’র কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিস পরিদর্শন করলেন আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার লালমনিরহাটে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম, সম্পাদক সম্পাদক তানভীর আহমেদ ধামইরহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের খাদ্য বিতরণ করলেন ইউএনও

ডুমুরিয়া নদী বাঁচাতে টিআরএম জোয়ারাধার বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নাই

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক অধিবাসী ১৯৮০ দশক থেকে জলাবদ্ধ কবলিত। উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলো একের পর এক মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। মূল কারণ পলি সমস্যা। পোল্ডার ব্যবস্থার পূর্বে জোয়ারে আগত পলি সব বিলের মধ্যে অবক্ষেপিত হতো, এখন তা নদীবক্ষে অবক্ষেপিত হয়ে নদ-নদীগুলোর মৃত্যু ঘটাচ্ছে যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সমস্যা। ইতোমধ্যে হামকুড়া, শৈলমারী, পূর্ব শালতা, অদ্রা ও আমতলী নদী মারা গেছে এবং মৃত্যুর প্রহর গুণছে ওয়াচাপা ও জয়খালী নদী। তেলিগাতী ঘ্যাংরাইল ও পশ্চিম শালতা নদীও ভুগছে প্রচন্ড নাব্যতা সংকটে। ফলে সমগ্র উপজেলা জলাবদ্ধতা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এখন এটি বড় ধরণের প্রশ্ন যে, এসব নদ-নদী যদি না বাঁচে তাহলে এলাকার অবস্থা কি হবে? নদ-নদীগুলো রক্ষা করার উপায় কি?টিআরএম বা জোয়ারাধার ব্যবস্থা বিল ডাকাতিয়া, ভবদহ এলাকার বিল ভায়না, খুকশিয়া ও কেদারিয়া বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন করে দেখা গেছে এ পদ্ধতির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করা এবং নদী বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু ভবদহ এলাকায় বিগত ১০ বৎসর যাবত টিআরএম বন্ধ থাকায় এর নিম্নে তেলিগাতী-ঘ্যাংরাইল অববাহিকায় দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট এবং জলাবদ্ধতার প্রাদুর্ভাব।
হামকুড়া অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম (IWM) সমীক্ষার ভিত্তিতে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে যেখানে অববাহিকার মধুগ্রাম বা মাধবকাটি বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ তে হামকুড়া ও ঘ্যাংরাইল অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তাদের আগ্রহ নদী-খাল খনন ও সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাধান দেওয়া।নদী খননের অভিজ্ঞতা

এটি বহুবার প্রমাণিত হয়েছে যে, নদী-খাল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করা বা নদী বাঁচানো সম্ভব নয়। অতীতে হরি, ভদ্রা, হামকুড়া, শৈলমারী, পূর্ব শালতা প্রভৃতি নদী একাধিকবার খনন করা হয়েছে, পলি দ্বারা তা আবারও ভরাট হয়ে গেছে। সম্প্রতি জয়খালি ও ডুমুরিয়া সদর মুখী ভদ্রা নদী ও মাগুরখালীর পশ্চিম শালতা নদী খনন করা হয়েছে। তার ফলাফল কি? ২-১ বৎসরের মধ্যে নদী ভরাট হয়ে গেছে। ভবদহের হরি নদী প্রতি বৎসর খনন করা হয় এক বৎসরের মধ্যে তা আবার ভরাট হয়। সুতরাং এটি প্রমাণিত যে, নদী খননের মাধ্যমে নদী বাঁচানো সম্ভব নয় বরং নদী এতে খালে পরিণত হয় এবং পাড় উঁচু হওয়ার কারণে দু’পাশের প্লাবন ভূমি সংকুচিত হয়ে পড়ে।
জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলা ছাড়াও আমাদের এ এলাকায় আরও কিছু সমস্যা আছে। আমাদের এ এলাকার ভূমি প্রতি বৎসর ভূ-পৃষ্ঠের চাপে বসে যায়, পোল্ডারের পূর্বে এসব বসে যাওয়া জায়গা জোয়ারে আগত পলিদ্বারা পূরণ হতো এবং ভূমি আরও উঁচু হতো, এখন সে সুযোগ নেই, এখন ভূমি একতরফা বসে যাচ্ছে। ফলে অধিক এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ঘন ঘন উচু মাত্রায় জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জোয়ারের উচ্চতাও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
টিআরএম বাস্তবায়িত হলে বসে যাওয়া ভূমি উঁচু করা যেমন সম্ভব হবে তেমনি এর দ্বারা নদী নাব্য হলে জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের চাপ যথেষ্ট পরিমাণ মোকাবেলা করা যাবে। সুন্দরবনের নদী-খাল আর পলি দ্বারা ভরাট হবে না। ফলে দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটি আয়োজনে টেকসই নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা (SRBM) মিসরিওর HILFSWERডুমুরিয়া উপজেলায় উপজেলা পানি কমিটি পুনর্গঠন শনিবার ২৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলা এস.কে.আব্দুল মজিদ সম্মেলন কক্ষে উত্তরণ ও ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটি আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটি সভাপতি ‌ডাক্তার মোহাম্মদ আলী,ডুমুরিয়া উপজেলা পানি কমিটি সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী আব্দুল্লাহ্,ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পানি কমিটি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদ শেখ মাহতাব হোসেন, সাংবাদিক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকুন্জি,সদস্য অমর মন্ডল, আব্দুল আজিজ আকুন্জি, শেখ মোশাররফ হোসেন, ইউ পি সদস্যা আরজিনা বেগম, ইউসুফ আলী প্রমুখ
শেখ মাহতাব হোসেন।
ডুমুরিয়া খুলনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি