নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনার মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি ,১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি। তথ্য সুত্রে জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাভার আশুলিয়ায় স্কুল ছাত্র সহ প্রায় ৪৬ জনের লাশ পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে ফেলেছে । ঐ লোমহর্ষক নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটির একটি তদন্ত কমিটি সরেজমিনে বিশ দিন তদন্ত করে। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান এম এম তোহা বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যার নং সি আর ১২১৮) ২০২৪। মামলাটি পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।বিগত ২৯ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে কথিত সাংবাদিক সেজে মেহেদী হাসান ও আজীজুর রহমান সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে খাদ্য কুঠির হোটেল বিকেল পাঁচটার দিকে এসে হাজির হয়ে মামলার বাদী এম এম তোহাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মামলা কেন? করলাম তার কৈফিয়ত চায় এবং বলে মামলা করায় তার চাচা গণপূর্তের প্রকৌশলী আমানুল্লাহার নাম দেয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে।যদি মামলা থেকে তার চাচার নাম না কাটি তাহলে দশ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় সোস্যাল মিডিয়ায় নিউজ প্রচার করে হেনস্থা করবে। পরবর্তীতে বিগত ২ নভেম্বর ২৪ মতিঝিলের কিচেন ইয়ার্ডে রাত ৯.৩০ ঘটিকায় মেহেদী হাসান,আজীজুর রহমান ও কথিত অগ্ৰযাত্রা পত্রিকার প্রকাশক প্রকৌশলী শরীফুল্লাহ আহমেদ সহ অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে এসে হুমকি দিয়ে বলে মামলা না উঠালে প্রাণে মেরে ফেলবে। বিগত ১৮ নভেম্বর বেলা ১২.২৯ এ মেহেদী হাসানের ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৮৯১৪৯৮৩৪৬ থেকে এম এম তোহা’র ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একটি ফেসবুক পেইজ’র লিংক আসে। www agrajatra24.com এ উল্লেখ করা হয় টার্গেট সরকারি কর্মকর্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কলুষিত করতে মামলা বাণিজ্য চক্রের অপতৎপরতার গোমর ফাঁস শিরোনামে একটি নিউজ আসে। নিউজের বিস্তারিত জানতে বাদী লিংকে প্রবেশ করে দেখে বাদীকে ফাঁসিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে।নিউজে ঘটনার সাথে বাঁদিকে ফাঁসিয়ে নাটক তৈরি করে সোসিয়াল মিডিয়া হেও প্রতিপন্ন করেছে। এঘটনা নিয়ে আমাদের অনুসন্ধানী টিম মাঠে নেমে অনুসন্ধানে কথিত সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ চক্ররটি বিভিন্ন
মানুষকে বোকা বানিয়ে
অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। এই চক্রটি আদালত থেকে মামলার নথি তুলে আসামিদের কাছে গিয়ে মোটা অংকের অর্থ গ্ৰহণের মাধ্যমে মামলা থেকে মুক্তির কন্টাক করে মামলার বাদী খুঁজতে থাকে। মামলার বাদীকে খুঁজে তাকে মামলা থেকে তাদের চাহিদার লোকের নাম বাদ দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। যদি তাদের বেটে বলে না মিলে তারপর শুরু করে বিভিন্ন পেইজ থেকে অপপ্রচার চালানো। এভাবে এই চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এ ব্যপারে মামলার বাদী এম এম তোহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেহেদী হাসান একটি ভুয়া পত্রিকার নাম ব্যবহার করে তাদের ফেইসবুক পেইজে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সে আমার দায়ের করা মামলার আসামি আমানুল্লাহর পক্ষে তদবির করতে এসে আমাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলে মামলা না তুললে প্রাণে মেরে ফেলবে। এবিষয়ে আইনী কোনো পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে? তিনি বলেন, আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অপরাধী যত শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মেহেদী হাসান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৮ জুলাই মিরপুর ১৩ এলাকায় মাথায় হেলমেট পড়ে ছাত্রলীগের সাথে যোগ দিয়ে নিরীহ ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একসময়ের টোকাই থেকে এখন সাংবাদিক সেজে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে কথিত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের এ চক্রটি। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মার এখনো যাদের মধ্যে বাস করছে তাদেরকে মামলা থেকে মুক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। অগ্ৰযাত্রা পত্রিকার কথিত প্রকাশ প্রকৌশলী শরীফুল্লাহ আহমদ মেহেদী হাসানকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব। কারণ একজন সন্ত্রাসীকে দায়িত্ব দিলে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি সবটাই ঠিক থাকে। তাই আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় বিভিন্ন অফিস আদালতে যারা শত শত কোটি টাকা কামিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদেরক রক্ষা করার জন্য এই চক্রটি উঠে পড়ে লেগেছে। পুরো মিরপুর এলাকায় চাউর আছে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তার ৫০০ পাঁচ শত কোটি টাকা আমানুল্লাহর মাধ্যমে কথিত প্রকৌশলী অগ্ৰযাত্রা পত্রিকার প্রকাশক শরীফ আহমেদ’ র বাসায় রক্ষিত আছে। এসকল বিষয়ে জানতে চেয়ে কথিত সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জনতে চেয়ে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি নিউজ করতে গেছি চাঁদা চাইতে যাইনি। আমরা প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য গিয়েছি। আমাদের কাছে অনেক মামলার আসামিরা সহযোগিতা নিতে আসে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকি। প্রকাশক শরীফুল্লাহ আহমেদকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে তার পত্রিকায় ভূয়া অসত্য তথ্য প্রকাশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেহেদী হাসানকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দিয়েছি সে কি করে সে বিষয়ে অবগত নহে। তবে আপনাদের বিষয়টি আমি অবগত নহে। আমি তার সাথে কথা বলে আপনাদের জানাব। অন্যায় কিছু করে থাকলে ব্যবস্থা নেব।
ভুক্তভোগী এম এম তোহা বলেন, একজন সাংবাদিক যখন কেউ পরিচয় দেয় তখন নিউজ প্রচার ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে ভাষা শৈলী, উচ্চারণের ক্ষেত্রে সাবলীল হতে হয়। একজনের নাম প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে করতে হয়। মেহেদী হাসানের নিউজের ভয়েজে মনে হচ্ছে সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গন্ডী এখনো পেড়োতে পারেনি। তাদের মতো কথিত কিছু অপসাংবাদিকতার কারণে জাতি আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে। তাদের কারণে জাতি প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে আমাকে কথিত সাংবাদিক তোড়া খান উল্লেখ করেছে। অথচ আমি বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, জাতীয় দৈনিক আজকের জণবানী পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম সাত বছর, সাপ্তাহিক নবজাগরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি আর আমাকে বলে কথিত সাংবাদিক। ব্লাক মেইলিং সাংবাদিক মেহেদী হাসান এভাবে অনেক সাংবাদিকে হেনস্থা করে হলুদ সাংবাদিকতার প্রচলন ঘটিয়েছে। তার এই নেক্কার জনক কালো থাবা বন্ধ করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এম এম তোহা।