গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না এমন একজন সাংবাদিককেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
জিএমপি কাশিমপুর থানা এলাকায় সুরাবাড়ি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে দেওয়ান মোজাম্মেল হক অন্য দাগ-খতিয়ান উল্লেখ করে সৃষ্ট জাল দলিলের মাধ্যমে নামজারি জমাভাগ করিয়ে মো. মাহবুবুর রহমান ও বিশ্বাস পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিডস্ লিমিটেডের নামে দখল করে নেয়।
পরবর্তীতে জমির ওয়ারিশ সূত্রের প্রকৃত মালিক মো. হাবেল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা আদালতের শরণাপন্ন হন। বিজ্ঞ আদালত স্বাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে ওই দাগ-খতিয়ান সৃষ্ট আলোচিত জমির জাল দলিল বাতিল করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ভূমি অফিসের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা তথ্য সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যান এবং দখলকৃত জমির তথ্যচিত্র/ ভিডিও ধারণ করে চলে আসেন। বিষয়টি টের পেয়ে দেওয়ান মোজাম্মেল হক ও মো. মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকেই আলোচিত ওই জমিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে হাঙ্গামা ও গোলাযোগ করার উদ্দেশ্যে বেআইনী সমাবেশ করে। পরবর্তিতে দখলবাজ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সিকিউরিটি গার্ড মোঃ শামীম হোসেন বাদী হয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের নাম জরিয়ে জিএমপি কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাশিদ আহমেদ তুষার (দৈনিক জনবণী), কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ্য মোঃ জামাল আহাম্মেদ প্রধানইয়া (চ্যানেল এস), মো. হাসমত হাসু (দৈনিক স্বাধীন বাংলা)’কে আসামি করা হয়েছে।
আশ্চর্যজনক বিষয় হল কাশিমপুর থানা প্রেস ক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব হোসেন (দৈনিক অগ্নিশিখা)’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকাতো দূরের কথা এবিষয়ে কিছুই জানেন না তাকেও এই মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিমপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মিজানুর রহমান ফোনে কোন তথ্য দিবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, থানায় এসে এককাপ চা খেয়ে আপনার যা যা তথ্য লাগে নিয়ে যান।
জিএমপি কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদী সাংবাদিকদের পরিচয় গোপন করে বৃহস্পতিবার রাতে একটি এজহার দায়ের করে। পরবর্তিতে আমি সকালে গণমাধ্যমকর্মী ভাইদের ফোনে জানতে পারি মামলার এজহারে আসামীর নামে তালিকায় সাংবাদিকদের নাম দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে সাংবাদিক নেতা জুলিয়াস চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালনকারী নিরপেক্ষ সাংবাদিকদের ফৌজদারী মামলায় আসামি করায় বাংলাদেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা আবারো হুমকির মুখে পড়েছে।