আজ ২৪শে নভেম্বর রবিবার, ঠিক দুপুর আড়াইটায়, সলিল চৌধুরী জন্মশত বর্ষ উদযাপন কমিটির , একটি নিউ টাউন কালচারাল ডায়লগ এর উদ্যোগে, কিংবদন্তি শিল্পী ও সুরকার সলিল চৌধুরীর জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য সলিল চৌধুরী শোভাযাত্রা করলেন, যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চ পর্যন্ত, এবং সেই মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলন ও সমবেত কন্ঠে গান গেয়ে শুভ সূচনা করলেন।
গানে কবিতায় নৃত্যে ভরিয়ে তুললেন বিভিন্ন শিল্পীরা।
শুভ উদ্বোধন করলেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার ও অন্তরা চৌধুরী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্যালকাটা কোয়ারের কল্যাণ সেন বরাট, উদ্যোক্তা কঙ্কন ভট্টাচার্য, পরিচালনায় রজত বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজয় লক্ষী বর্মন সহ বহু বিশিষ্ট অতিথিরা।
শুভ সূচনার পর অতিথিদের বরণ করে নেন, এবং বিভিন্ন আঙ্গিকে শিল্পীরা ভরিয়ে তুললেন গানে কবিতায় ও নৃত্যে, প্রায় কয়েক হাজার শিল্পী ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন দর্শকের আসনে এমনকি সংগীত প্রেমীরা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, ক্যালকাটা কয়ার, রক্ত করবী ব্যালে ট্রুপ, সিঞ্জন, এবং ৫০ জন শিল্পীর স্বরে সলিল কবিতা ও আবৃতি।
শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অন্তরা চৌধুরী, রূপঙ্কর, শুভমিতা, সৌমিক দাস, সপ্তকের সানাই দাস সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পীরা।
কিংবদন্তির শিল্পী ও সুরকার সলিল চৌধুরীর গান প্রতিটি মানুষের কন্ঠে আজও বাজে, দেখতে দেখতে ১০০ তম বর্ষে পদার্পণ করল, কিন্তু শিল্পীকে কেউ বলে না, আজ তা প্রমাণ করে দিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তিনি আজও প্রতিটি শিল্পীর মনে প্রানে গেঁথে রয়েছে, তাই বন্যাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে একই সুরে তার গানগুলি করতে থাকলেন।
সলিল চৌধুরীর বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গান,..... আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা, যদি কিছু আমারে শুধাও, আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম, ওগো আর কিছু তো নয়, না মনো লাগে না, ও ঝর ঝর ঝর্না, বুঝবে না কেউ বুঝবে না, কেন যে কাঁদাও বারে বারে, আমি চলতে চলতে থেমে গেছি, ভুলনা প্রথম সেই দিন, পা মা গারে সা, এইরকম বহুগান আজও বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে বেজে ওঠে, আকাশে বাতাসে আন্দোলিত হয়, তাই আজ সকলেই কিংবদন্তি শিল্পীকে গানে কবিতার মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন। তাই আজ বন্যাঢ্য শোভাযাত্রায় কয়েকশো সংগীত প্রেমী, কবি , নাট্যকার, নৃত্যশিল্পী পায়ে পা মিলিয়েছেন।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা (ভারত)