ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শায় রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে স্বপ্নবাজ যুবক অহিদুজ্জামানের। টেলিভিশনে প্রতিবেদন দেখে রামরঙ্গন জাতের কমলার চাষ শুরু করেন তিনি। তার এ কমলার চাষ দেখতে আশপাশের মানুষসহ দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। ভালো ফলন দেখে রামরঙ্গন কমলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে তারা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে এ এলাকার আবহাওয়া ও মাটি ভালো হওয়ায় রামরঙ্গন কমলাসহ বিভিন্ন ফল চাষে উপযোগী।
শার্শায় রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার পানবুড়িয়া গ্রামের অহিদুজ্জামান। তিনি নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ভারত ও চীন দেশে ব্যাপক ভাবে রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ হয়। আমদানিকৃত রামরঙ্গন কমলা লেবুর চেয়ে এ এলাকার উৎপাদিত ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু। সামান্য কিছু পরিচর্যা করলেই চাষে সাফল্য আসে। রামরঙ্গন কমলা চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ থেকে এক মৌসুমে দেড় মন থেকে দুই মন রামরঙ্গন কমলা পাওয়া সম্ভব। রামরঙ্গন কমলা গাছ ৫/৬ ফুট লম্বা হয়। এটা কমলার একটি ভ্যারাইটি জাত। এই জাতের কমলা চাষে সুবিধা হচ্ছে পূনাঙ্গ পরিপক্ব হওয়ার পরও এটা গাছ থেকে ঝরে পড়ে না। পরি পক্কের পরও অন্তত ফলটি এক মাস গাছে রাখা যায়। গাছে মূলত ২ বছরের মধ্যে ফলন দেয়। রামরঙ্গন কমলা চাষী অহিদুজ্জামান জানান, আমি দুই বিঘা জমিতে রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করেছি। প্রথম বছরে এক লাখ ৬৬ হাজার টাকার ফল বিক্রি হলেও এ বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় ফল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করেন।
যশোরের শার্শা উপজেলায় এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে কমলার চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে শার্শা উপজেলার পানবুড়িয়া গ্রামের অহিদুজ্জামান ২ বিঘা জমিতে রামরঙ্গন কমলার চাষ করেছে। এ এলাকায় আবহাওয়া ও মাটি ভালো হওয়ায় বিভিন্ন দেশি বিদেশি জাতের ফল চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষীরা ভালো ফলন পাবে। আগামী বছর কমলার আবাদ আরও বাড়বে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,দীপক কুমার সাহা বলেন শার্শা, যশোর বানিজ্যিক ভাবে এ এলাকায় আবাদ করা গেলে উৎপাদিত কমলা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।