মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম
বিশেষ প্রতিনিধি,
সাংবাদিক মোঃ সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা এবং উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই বনশ্রী সাখার এস আই ইয়াসিন কর্তৃক মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা। তারা সাংবাদিক মোঃ সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তদন্তে ন্যায়বিচার দাবি করেন এবং অভিযোগ করেন যে, যদি মামলা তুলে না নেয়া হয়, তবে অন্যান্য Pending মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধনে মিথ্যা মামলার শিকার সাংবাদিক
মোঃ সাইফুল্লাহ বলেন যে মিথ্যা মামলার বাদীনি মোসাঃ আফরোজা বেগম আমার পুর্ব পরিচিত ছিলেন এক সময়ে তার সাথে আমার একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তারই দারাবাহিকতায়,তিনি আমাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়,এর পর বিভিন্ন অজুহাতে আমার কাছ থেকে বেশ কয়েক ধাপে কয়েক লক্ষ টাকা নেন তিনি, পরবর্তী সময়ে তিনি তাঁর মায়ের হার্ডের কথা বলে টাকার
স্টাম্পে সাক্ষর করে ৩ লক্ষ টাকা নেন।ফেরত যোগ্য)
এর পরে তিনি আমাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন, পরবর্তী সময়ে তার কাছে আমার পাওনা টাকা চাইলে তিনি আমাকে বিয়ে করবেন বলে খরছ সহ মিরপুর শাহ আলি মার্কেটের পিছনে যেতে বলেন, আমি তাঁর কথা মতো ঘটনা স্থলে পৌছালে গিয়ে আফরোজা সহ তার সহযোগী ১০, ১২ জন যুবককে দেখতে পাই এসময় তাঁরা একজন দাড়ি টুপিওয়ালা ব্যাক্তিকে ডেকে এনে বিয়ে রেজিস্ট্রার খাতা বলে আমার সাক্ষর নেয় এসময় ওরা জোর পুর্বক আমাকে ধরে আমার সাথে থাকা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে বিয়ের খরছ।
এর কিছুক্ষণ পরেই দুজন সিভিল লোক এসে জোর পুর্বক আমাকে হ্যানকাপ পরিয়ে মারধর শুরু করেন,, এসময় আফরোজা ও তার সঙ্গ পাঙ্গরা মারধর করে ভিডিও ধারন করে পরে ছেড়ে দেয়। পরের দিন আমি মিরপুর শাহ আলি থানায় খোজ নিলে থানা সুত্রে জানতে পারি ওরা প্রতারক ও ভয়ংকর অপরাধী তাঁরা থানার কেউই না।
পরবর্তী সময়ে আমি আমার পরিবার ও সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করে ১৭/৪/২০২৩ একটা মামলা করি যার নং ১৩৭/ বাই ২৩,,এর পরবর্তী সময়ে আমি বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও শোসাল মিডিয়া থেকে জানতে পারি আফরোজা বেগম একজন দেহ ব্যাবসায়ি ও ভয়ংকর অপহরনকারী চক্রের সদস্য এবং এই আফরোজা বেগম তার দৌহিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ফাসিয়ে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে জিম্মি করে মোটা অংকের মুক্তিপন আদায় করে। পরবর্তী সময়ে তিনি বিভিন্ন যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতার পরিচয়ে আমাকে ফোন করে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করেন।
আমি তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেই যে আমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করবো না এবং মামলা ও তুলে নেবো না, এরই দারাবাহিকতায় আফরোজা আমার বিরুদ্ধে গত২৫/৯/২০২৪ একটি ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যার নং সিআর ৪৪৫/২৪/ এরই দারাবাহিকতায় আমাকে এস আই ইয়াসিন, পিবিয়াই বনশ্রী সাখা ৪/১১/২০২৪ আমার বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে তার ব্যাক্তিগত নম্বর থেকে ফোন করে পিবিআই বনশ্রীতে যেতে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ৬ /১১/২০২৪ পিবিআই বনশ্রীতে এস আই ইয়াসিনের অফিসে যাই,এসময় এস আই ইয়াসিনের সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে আমি আমার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখাতে চাইলে এসআই ইয়াসিন আমাকে বলেন তোর কোনো ডকুমেন্টস দেখার মতো সময় নেই তোকে যা বলি তাই কর, এসময় আমি তার আচরনে হতভম্ব হয়ে যাই এসময় হটাৎ করেই এসআই ইয়াসিন, মিথ্যা মামলার বাদিনিকে আমার সামনে ডেকে এনে আফরোজার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়ে আপোষ করতে বলেন এবং বিভিন্ন রকমের চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
অন্যথায় আমাকে বিভিন্ন পেন্ডিং মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয় এস আই ইয়াসিন।
এসময় সাংবাদিক সাইফুল্লাহ গনমাধয়ম কর্মীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস স্যার ও বাংলাদেশর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে একজন পিবিআই কর্মকর্তা কি কাউকে মামলা তুলে নিতে আপোষের প্রস্তাব কিংবা মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করার এখতিয়ার রাখেন কিনা।
এই মানববন্ধনে সাংবাদিকরা একত্র হয়ে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না, এবং সাংবাদিকতা সুরক্ষিত রাখতে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
প্রতিবাদকারীরা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন যে, সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে জনগণের কল্যাণে তথ্য সরবরাহ করা, এবং তাদের স্বাধীনতা হরণ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা দ্রুত এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা তুলে নেয়ার দাবি জানান।
এছাড়া, মানববন্ধন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয় যেন সাংবাদিকদের উপর অবিচার বন্ধ করা হয় এবং তাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখা হয়।