মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভারতীয় আধিপত্য বন্ধ ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবীতে ক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে জগন্নাথপুর।
অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা মিছিল করেছে জগন্নাথপুরে। ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় তৌহিদী জনতার উদ্যোগে আজ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সমাবেশও করেছে।জগন্নাথপুরে উপস্থিত তৌহিদি হাজারো ছাত্র-জনতাকে ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গীসহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা।এসময় বক্তারা বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই ভারতে বসেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যত ষড়যন্ত্রই করুন না কেন, আমরা রুখে দেব। বাংলাদেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। ধর্মের নামে উগ্রবাদীতার এখানে ঠাঁই নেই। ইসকনের বর্বরতা আইয়ামে জাহেলিয়াতকে হার মানিয়েছে। তাই অবিলম্বে জঙ্গি সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে।
জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা- উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে বক্তারা আরও বলেন, তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের হতবাক করেছে। এই দেশের সাধারণ সনাতনী ভাইয়েরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার দালালরা ইসকনকে উস্কে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমরা বেঁচে থাকতে তা হতে দিব না। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ‘যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মা উস্কানি দেয়। আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটোখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা। ’আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। ভারতীয় কোনো আগ্রাসন বাংলাদেশে চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদেরকে প্রতিহত করতে একবারও ভাববো না। ’ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সাংবাদিক মুকিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এই বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আমরা এর বিচাই চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নৃশংসভাবে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের শোক এবং সম্প্রীতি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।