উত্তরা প্রতিনিধি ঃ
রাজধানী উত্তরার, উত্তর খানের কাঁচকুরা, পলাশিয়া গ্রামের থানা যুবদল নেতা, মারুফ হাসান শাকিল বলেন আমি বিচার চাই, আমি অপপ্রচারের শিকার।
গত ১৪ ই নভেম্বর কাঁচকুরা বাউথর এলাকায় অজ্ঞাত নামা ৫০-৬০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারুফ হাসান শাকিল এর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শাকিলসহ শাকিলের অনুসারী পাঁচজন আহত হয়। তবে শাকিলকে টার্গেট করে এলোপাথাড়ি হামলা করা হয়, তার মাথায় ৩৫ টা সেলাই এর প্রয়োজন হয়। সারা শরীরের রড ও পাইপ দিয়ে আঘাত করে থেতলিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে উত্তরখান থানায় একটি মামলা করা হয়। উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ এই বিষয়ে বলেন,আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছি।
মারুফ হাসান শাকিল সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তরাখান থানা যুবদল ২০১৮ সালের কমিটিতে ছিলেন।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয় যেখানে মারুফ হাসান শাকিল এর সম্মানহানি ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করে। এ বিষয়ে শাকিল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিচার চাই আমি অপপ্রচারের শিকার। তিনি আরো বলেন শাকিল নামের একটা ছেলে বর্তমানে উত্তরখান থানার ছাত্রলীগে রয়েছে।
সেই শাকিল এর বর্ণনা দিয়ে আমার নামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই শাকিল এর পুরো নাম আমার নাম এক নয়। বিভিন্ন জায়গায় যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সেই ছবি হচ্ছে ছাত্রলীগ করা শাকিল এর, সেই ছবিও আমার না।
এই বিষয়ে মোঃ মজিবুর রহমান উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বলেন, শাকিলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, শাকিলসহ আমার নিজ দলের আরো ছেলেপেলে তখন আহত হয় আমি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
মোঃ মাহবুবুর রহমান রনি উত্তরখান থানা বিএনপির, সদস্য বলেন, মারুফ হাসান শাকিলকে ১৪-১৫ বছর যাবত আমি দেখছি ছাত্রদল ও যুবদলে তার ভূমিকা সব সময় সক্রিয় ছিল কিন্তু কেন কি উদ্দেশ্যে তার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না। এ বিষয়টি আমাদের সিনিয়ররা গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
সবুজ মিয়া যুগ্ন আহবায়ক উত্তরখান থানা বিএনপি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শাকিরের অবস্থান আমাদের কাছে পরিষ্কার। আন্দোলনের প্রতিটা মুহূর্ত শাকিলকে যখন যেভাবে ডাকা হয়েছে শাকিল এসেছে। আন্দোলনে শাকিল নিজে থেকেই আমাদের সঙ্গে ছিল।
আরো গভীর অনুসন্ধানের জন্য শাকিলের এলাকার আশেপাশে মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় মারুফ হাসান শাকিল ছোটবেলা থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।