স ম জিয়াউর রহমান :
আজ ঐতিহাসিক ২ ডিসেম্বর, পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর পূর্তি।
দীর্ঘদিন চলমান রক্তপাত ও সংঘাত নিরসন এবং পাহাড়ে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে আজকের এই দিনে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোনো প্রকার তৃতীয় মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় চুক্তিটি, যা সারাবিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
বর্তমান অবৈধ ইউনুস সরকারের চরম অবহেলার কারনে দিন দিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। অবৈধ সরকার কতৃক শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলে পাহাড়ের ঐক্যবদ্ধতা ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠী।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এবং অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। (২০ সেপ্টেম্বর সকালে এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটি জেলায়ও, যেখানে বিভিন্ন সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। অবৈধ সরকার কতৃক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যার্থতার কারণে এ বছর পাবত্য এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় নি প্রবারণা পূর্ণিমা'র ঐতিহ্যবাহী "কঠিন চীবর দান" অনুষ্ঠান। যা খুবই দুঃখজনক।
বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার ব্যপারে সরকারের এরূপ অবহেলা ও উদাসীতার প্রতি আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই!