আজ ৪ঠা ডিসেম্বর বুধবার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর কলেজে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো কলেজ চলাকালীন । কলেজের ভেতরে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে একে অপরকে মারধরের ঘটনায় রক্তাক্ত হলেন কয়েকজন ছাত্র। তাহাদের মধ্যে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটানোর পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে হাজির হয় কেশপুর ও আনন্দপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে এফআইআর করেছেন প্রিন্সিপাল, ঘটনায় এক গোষ্ঠী অভিযোগ করেছেন অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। প্রিন্সিপালের দাবী ,বাইরে থেকে কয়েকজন এসে কদাল নিয়ে কলেজের গেটে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করছিল , তারপর সংঘর্ষ, আমি কড়া ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি পুলিশকে , গত কয়েকদিন ধরেই কেশপুর কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনকে ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর ,সেই কারণেই নাকী নবীনবরণ অনুষ্ঠানের বিশাল আয়োজন বাতিল করা হয়। তারপরও অভ্যন্তরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিলই, হঠাৎ কলেজ চলাকালীন কলেজের ভেতরে এক দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরকে মারধর হয় কলেজ চত্বরে, ঘটনায় প্রায় পাঁচ ছয় জন কম বেশি আহত হয়, তবে তাদের মধ্যে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের কানের অনেকটা অংশ কেটে যাওয়ায় রক্তাক্ত অবস্থায় কেশপুর হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
শেখ আব্দুল্লাহ নামে ওই ছাত্র মেদনীপুর হাসপাতালে বলেন, কলেজের রাজনীতির সঙ্গে আমি কোন ভাবেই জড়িত নয়। আমি ক্রিকেট খেলার পর প্রিন্সিপালের রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখনই কয়েকজন সেখানে অতর্কিত মারধর শুরু করে দেয়। ওদের দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট চলছিল, আমাকে মাঝখানে পেয়ে মারতে শুরু করে। কলেজের আর এক ছাত্র একই দাবি করে বলেন তৃণমূলের দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হচ্ছিল, আমরা খেলার শেষে প্রিন্সিপালের রুমের সামনে আইডেন্টি কার্ড আনতে গিয়েছিলাম, তখনি সংঘর্ষ শুরু হয় শুরু হয়ে যায় , বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে, তারা বাইরে থেকে বেশ কিছু লোকজন ঢুকিয়ে এই সংঘর্ষ করেছে বলে জানান।
ঘটনার পরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে, সেখানে ছুটি আসে কেশপুর ও আনন্দপুর থানার পুলিশ ,ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষস্থলে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। কলেজের প্রিন্সিপাল দীপক কুমার ভূঁইয়া বলেন, আমি বাইরের কাউকে কখনো ভেতরে অনুমতি দিই না। আমি ক্লাস চলাকালীন দেখতে পেলাম , বাইরে থেকে কয়েকজন কোদাল দিয়ে কলেজের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকছিল।
সেই সময় পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষী সবই ছিল , তারপর ওই ঘটনা ঘটলো , এই ঘটনা কাঙ্খিত নয়, পুলিশের কাছে এফ আই আর করা হচ্ছে করা হয়েছে ,ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে পুলিশকে, সিসিটিভি ফুটেজ হ্যান্ডওভার করে দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। পুলিশ আইনের পথে ই চলবে ও ব্যবস্থা নেবে।
রিপোর্টার , শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা (ভারত)