আজ ৫ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, রানি রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, সন্ত সমাজের মানুষের উপস্থিতিতে , বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ সমস্ত সন্ন্যাসীদের নিঃশর্তে মুক্তি দাবিতে এক বিশাল মহাসমাবেশ করলেন। এবং এখান থেকে বেশ কিছু বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। অখন্ড ভারত গরতেই সমাবেশ, প্রায় কয়েক হাজার সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী সহ হিন্দু ভাইয়েরা এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ভক্তিগীতি ও শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শুরু হয়।
দুই বাংলার জেহাদী আগ্রাসন, মৌলবাদী তোষণ ও হিন্দুদের উপর অমানবিক অন্যায় অত্যাচার বন্ধ না হলে এই লড়াই চলবে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ অবলম্বন করবেন বলে জানালেন, এমনকি বর্ডার বন্ধ করারও হুমকি দিলেন। শুধু তাই নয় যে সকল পণ্য বাংলাদেশে যায়, সেগুলিও বন্ধ করার অঙ্গীকার করলেন। শুধু বাংলাদেশকে হুমকি দেননি, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্য মন্ত্রীকেও ছাড়েননি, যিনি এখনো পর্যন্ত চুপ করে বসে আছেন, যদি মহারাজের মুক্তির ব্যবস্থা না করেন, তাহলে তারা কিভাবে লড়াই করতে হয় এবং মুক্ত করতে হয় বুঝিয়ে দেবেন। তাই অবিলম্বে যারা বাংলাদেশে আটক রয়েছেন তাদের নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অর্জুন সিং, সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ, সঞ্জয় মহারাজ, শীলভদ্র মহাশয়, শীতল কপাট, জিতেন্দ্র তেওয়ারী , বঙ্কিম ঘোষ ,অবদূত মহারাজ, কাঞ্চন মৈত্র, নীলাদ্রী জানা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কর্ণধারেরা এবং বাংলাদেশে আহত সায়ন।
মঞ্চে একে একে গর্জে উঠলেন কার্তিক মহারাজ থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,
বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়ে কিভাবে আহত হয়েছেন তারও বর্ণনা দিলেন সায়ন, তাহার অপরাধ তিনি একজন হিন্দু এবং তাহার বন্ধু ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের, মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলে হয়ে হিন্দুকে আশ্রয় দেওয়ায় , দুইজনকেই মারেন, মার খেয়েও বন্ধুত্ব রক্ষা করেছেন, এবং বন্ধুকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন, কোনভাবে সায়ন দেশে ফিরে আসে। কিন্তু এখনো বন্ধুকে ছাড়েনি মারধোর করছে, হুমকির পর হুমকি তার পরিবারকেও দিচ্ছে।
বিরোধী দলনেতা, শুভেন্দু অধিকারী বলেন যদি অবিলম্বে চিন্ময় মহারাজ সহ অন্যান্যদের মুক্তি না দেয়, তাহলে হিন্দু সমাজ ছাড়বেনা, যেভাবে নিরীহ ভাই বোনেদের উপর অত্যাচার করছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, তাই সবার উদ্দেশ্যে বলবো আর দেরি নয় সমস্ত হিন্দু সমাজ এক হও, আমাদের দিন এসেছে, রুখে দাঁড়াতে হবে, সামনে বিজয় দিবস, এই বিজয় দিবসে এবং দশই ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে, আমি বর্ডার বন্ধ করার পন্থা নিয়েছি। আমার কাছেও খবর আছে, কোন এক নেতা তার বউয়ের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, এ বাংলার অপমান ভারতের অপমান, আগামীকাল থেকে শুরু হবে আমাদের পদযাত্রা ও তীব্র প্রতিবাদ, আগামীকাল আমরা করবো সূর্যশ্মান, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে শুরু হবে সিথি মোড় পর্যন্ত, এরশাদ জাতীয় বহু কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
শুধু তাই নয়, ভারত থেকে যে সকল দ্রব্য সামগ্রী বাংলাদেশে যায়, দরকার পড়লে সেগুলিও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, এর আগে সাত দিনের ধর্মঘটে চার দিনের মাথায়,বহু আলু পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছিল, আমরা ঢুকতে দিইনি, এবারে যদি বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসন না শুনে, তাহলে আমরা পুনরায় বুঝিয়ে দেব। তাই আমাদের প্রথম পথচলা শুরু হবে আগামী কাল থেকে সবাইকে আসার আহ্বান জানান। অখন্ড ভারত গড়ার লক্ষ্যে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে, সন্যাসী দের মুক্তির দাবিতে।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা ( ভারত)