আশুলিয়া প্রতিনিধি :
"চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে" শিরোনামে গত ৩ ডিসেম্বর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা ও অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সংবাদটি মোটেও সত্য নয়, প্রকৃত পক্ষে সংবাদটি ভিত্তিহীণ, মনগড়া বানোয়াট ও উদেশ্য প্রনোদিত বলে দাবী করেছে অভিযুক্ত ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল। তিনি দাবী করেন, জনসাধারণের পক্ষে তাদের উন্নয়ন কল্পে আমার কার্যক্রম এবং বিএনপির দলীয় কর্মকান্ডে আমার সক্রিয়াতা দেখে একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডায় লিপ্ত রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল আরো বলেন, অভিযোগকারী রিপন মিয়া আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফ মন্ডলের একজন সহযোগী, সে একজন আওয়ীলীগের পদধারি ব্যাক্তি, গত ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সে সরাসরি মাঠে থেকে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালিয়েছে, তার দোষর ধামসোনা হকার্স লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধারন সম্পাদক আতিক, রিপন ও কামাল আত্মাগোপনে থাকলেও সে প্রকাশ্য এসে কিছু মানুষ কে হাত করে, রঙ বদল করে করে দল বদল করতে চাচ্ছে। বিগত দিনে লতিফ মন্ডলের ডাকে আওয়ামীলীগের প্রতিটি মিটিং মিছিলে উপস্থিত থাকতো এবং সে নিয়মিত লোকজন সাপ্লাই দিতো। তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, সে আমার প্রতিপক্ষ বা সমকক্ষও নয়, আমি তার কাছে কোন চাঁদা দাবি করিনি তার এমন হস্যকর কথার পরিপ্রেক্ষিতে জানাতে চাই, আমি ইপিজেড থেকে বলিভদ্র বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশে বসা হকারদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ করেছি। কোন হকার এখন চাঁদা দেয় না। তাহলে তার কাছে চাঁদা চাইবো কেন? তাছাড়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমি কিভাবে কেড়ে নিলাম? সে তো এখনো সেখানেই ব্যবসা করছে। তাকে আমি কেন হুমকি দিবো আমার সাথে তার তো কোন শত্রুতা নেই, সে মূলত ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লতিফ মন্ডলের নির্দেশে আমার নামে মিথ্যা একটি চাদাঁবাজির মামলা দিয়েছে, আমি যে তাকে মেরে পুলিশে দিয়েছি এগুলো মোটেও সত্য নয়।
এছাড়াও সে যে আলম ভূইয়ার কথা উল্লেখ করেছে আমি তাকে চিনি না দেখিনি কখনো।
ঐ সংবাদে উল্লেখিত আরেক ব্যাক্তি হুমায়ুন কবিরের কাছে জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের চাঁদা দাবির ব্যপারে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না , তিনি বলেন পত্রিকায় তার নাম ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাকে ফাঁসানোর জন্য, তিনি আরো জানায় জাহাঙ্গীর মন্ডলের তার কাছে কখনো কোন ব্যপারে কথা বলেনি বা কোন ধরনের চাঁদাও দাবী করেননি এগুলো সবই মিথ্যা, সাজানো, পরিকল্পিত বিষয়।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল বলেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লতিফ মন্ডল একের পর এক মাললা দিয়ে আমাকে জর্জরিত করে ছিলাে। সে ও তার দোষররা আমাকে ৪৬টি মামলা দিয়েছে। আমার অপরাধ ছিলো আমি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম।
৫ই আগষ্টের পরে সে আত্মাগোপনে গিয়েও তার দোষরদের দিয়ে তার মিথ্যা মামলা আর প্রোপাগান্ডা অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যাম এখন ব্যাপক স্বাধিনতা ভোগ করছে তাই আমি বলবো সত্য মিথ্যা যাচাই করে সংবাদ প্রচারের জন্য আওয়ামীলীগের দোষররা এখনো দেশে মিথ্যা আর গুজব ছড়াচ্ছে তাই একটাদ্বায়িত্বশীল গণমাধ্যমের কাছে এধরণের মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট আজগুবি সংবাদ সংবাদ প্রকাশ আশাকরি না আমি এহেন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার বিশ্বাস আগামিতে তারা আরো দ্বায়িত্বশীল হয়ে সংবাদ পরিবেশন করবে। তিনি বিবেকবান জন সাধারণ কে এহেন মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান।