আজ ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, বঞ্চিত পার্শ্ব শিক্ষকেরা শিয়ালদা বিগ বাজারের সামনে জমায়েত হয়ে এক বিশাল মিছিল করেন কলকাতা কর্পোরেশন পর্যন্ত এবং সেখানে একটি সমাবেশ করেন ও বিকাশ ভবনে, বিদ্যালয় শিক্ষা উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন দেন।
পুনরায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য, দ্বিতীয় আবেদন জানালেন , বিকাশ ভবনের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দপ্তরে, বিদ্যালয় শিক্ষা উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে একটি ডেপুলেশন দেন, এবং তাহারা জানালেন আমরা কোন রাজনীতি করতে চাননি, তারা এখনো মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন, তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য, কারণ পার্শ্ব শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু আজও তাদের মাইনে বৃদ্ধি হয়নি, তাহারা জানালেন আমরা দশ থেকে বারো হাজার টাকা মাইনে পাই। এতে কি সংসার চলে, বাড়ির ছেলেমেয়েরা না খেয়ে মরবে, কোনভাবে আমরা দিন যাপন করছি, বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সহিত আমরা সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেছি, উনি কথা দিয়েছিলেন, কিন্তু আজও তাহা সম্পূর্ণ করেননি ,তাই আমরা পুনরায় আবেদন জানাচ্ছি, যাতে আমাদের দিকে বিবেচনা করেন। ১/৩/২৪ অর্ডার অনুযায়ী পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির এটি দ্বিতীয় আবেদন। 18 থেকে কুড়ি বছর ধরে আমরা নিষ্ঠার সহিত বিদ্যালয়ে কাজ করে যাচ্ছি।। তাহারা বলেন সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান কাজের সাথে জড়িত পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকারা, কিন্তু তাদেরই বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না। আরো বলেন ২০০৯ এবং ২০১৯ সালের পে-কমিশনের সুযোগ সুবিধা পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাননি।
আজ প্রশাসনের অফিসারেরা, পাঁচজন পাঁচ জন পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে সাথে নিয়ে বিকাশ ভবন এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখানে শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন দেবেন। ডেপুটেশন দিতে যান নাজমুল হক লস্কর, প্রভাত ঘোষাল, মৃন্ময় চক্রবর্তী, রামপ্রসাদ ধাড়া, শুক্লা রায়,
যাবার সময় সবার উদ্দেশ্যে বলে যান, যতক্ষণ না আমরা ডেপুটেশন দিয়ে ফিরব, ততক্ষণ এই সমাবেশ ছেড়ে কেউ যাতে না চলে যায়।, নিশ্চয়ই আমাদের দিকে বিচার বিবেচনা করবেন আমরা আশা রাখছি ,আর তারই বার্তা এসে আমরা দেব। আমরা এখনো আশাবাদী, আর যদি আমাদের দাবী পূরণ না হয়, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আমাদের কথা বিবেচনা না করেন, আগামী দিনে আমরা অনশনে ও রাস্তায় নামবো,, মৃত্যুকেও ভয় করব না। আমাদের এমনি পিঠ ঠেকে গেছে,
পার্শ্ব শিক্ষকেরা আরো বলেন, ১/৩/২০২৪ তারিখের চুক্তিভিত্তিক, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নতুন বেতন সংক্রান্ত নির্দেশ নামা বের হয়, যার মেমো নম্বর ১০৯১-এফ(পি২) , যেখানে ন্যূনতম ১৫ বছর কাজ করলে গ্রুপ সি কর্মচারী ৩২ হাজার টাকা , গ্রুপ ডি কর্মচারী ৩০০০০ টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন এবং কুড়ি বছর কর্মরত থাকলে গ্রুপ সি কর্মচারী ৩৯ হাজার টাকা, গ্রুপ ডি কর্মচারী ৩৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ,সে ক্ষেত্রে আমাদের কোন বৃদ্ধি হয়নি। তাই আমরা বারবার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা (ভারত)