মোঃ আতিক উল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
জঙ্গী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ এবং এড. সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচারের দাবিতে এবং ভারতের আগর তলায় বাংলাদেশ এর উপ হাই কমিশনার এ হামলার প্রতিবাদে রাউজান উপজেলা হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে
গতকাল শুক্রবার ৬ই ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় রাউজান মুন্সির ঘাটা চত্ত্বরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ এবং চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রাউজান উপজেলা শাখা।
.
উপজেলা হেফাজতের সভাপতি কেএম আলমগীর মাসউদ কাসেমীর সভাপতিত্বে, উপজেলা হেফাজতের প্রচার সম্পাদক সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম নূর সঞ্চালনায় উক্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, ইসকন একটি আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন। সর্বশেষ আদালতের কাজে বাধা প্রদান এবং রাষ্ট্রপক্ষের একজন স্বনামধন্য আইনজীবীকে আদালত প্রাঙ্গনে নির্মমভাবে হত্যা করে তার প্রমাণ দিয়েছে সংগঠনটি৷ সুতরাং সরকারের প্রতি আমাদের দাবী, এ মুহূর্তে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা এবং আইনজীবী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ইসকন শুধু জঙ্গি সংগঠন নয়; বরং এটি রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন। তাদের কার্যক্রম দেখে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়। ভিনদেশী এজেণ্ডা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠন।
সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ওরফে চন্দনধর একজন সাম্প্রদায়িক, ভূমিদস্যু এবং দেশদ্রোহী। হাটহাজারীর পুন্ড্ররিকধামে ধর্মীয় আচার শিখানোর নামে সে শিশু-কিশোরদের যৌন নির্যাতন চালানোর অসংখ্য প্রমাণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাছাড়া সেখানে পতিত ফ্যাসিস্টের লালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়েছে মর্মে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করার এবং পুন্ড্ররিকধামে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি।
বক্তৃতায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রাউজান উপজেলা র সভাপতি কেএম আলমগীর মাসউদ আরবনগরী বলেন, এ দেশে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজীর স্থাপন করেছি৷ অথচ ভারতে মুসলমানরা যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত-নিষ্পেষিত। ভারত নিজের দোষ ঢাকতে এ দেশে সংখ্যালঘুর খেলা খেলতে চাইছে। বাংলার জমিনে এ খেলা কখনোই সফল হবে না ইনশাআল্লাহ।
সহ সভাপতি হানিফ বলেন বলেন, বিতাড়িত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে এ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে আবারো দেশে ঢোকার পায়তারা করছে৷ আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে তা হতে দেবো না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে৷ আমরা চাই হিন্দু-মুসলমান মিলে সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি। কিন্তু উগ্রপন্থী ইসকন এই শান্তির পথে বারবার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ দেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হলে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শফিউল আলম সাহেব, অর্থ সচিব মুফতি হোছাইন আহমদ আসেম,উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওসমান খলিলাবাদী সাহেব, সহ সভাপতি জনাব মোহাম্মদ হানিফ সাহেব,উপজেলা বাণিজ্য সম্পাদক মাওলানা সাইফুল্লাহ, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মহি উদ্দিন, খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মিজান সাঈদ,উপজেলা সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাষ্টার মোহাম্মদ সোহাইল,
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব ছিদ্দিকী,উপজেলা কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সি এ গবেষক, হাফেজ জয়নাল আবেদীন তালুকদার, মিডিয়া সম্পাদক আতিকুল্লাহ চৌধুরী, সহ কর্মসংস্থান সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ,হেফাজত নেতা মাওলানা আব্দুর রহমান কান্দিপাড়া, মাওলানা মোহাম্মদ খোরশেদ, মাওলানা মোহাম্মদ এমরান মাওলানা নুরুচ্ছফা,মাওলানা মামুন বিন ইউনুছ, মাওলানা মোহাম্মদ দিদার আলম,মাষ্টার মিজান, মাওলানা নোমান, মাওলানা ইয়াহিয়া সাহেব, মাওলানা আব্দুল বাসির রাজশাহী, মাওলানা মুস্তাকবিল্লাহ,হাফেজ মাওলানা মোর্শেদ
মাওলানা আইয়ুব আরবনগরী প্রমুখ