মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী ঃ নরসিংদীর রায়পুরায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দুটি বিবদমান গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। অদ্য ৭/১২/২৪ ইং শনিবার ভোরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) ও একই ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম (৩২)। তারা উভয়ই যুবলীগ নেতা রুবেল গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। আহতরা হলো- আমির (২৫), রাসেল (৩০), সাব্বির (২৮), জুয়েল (৩০) ও রাব্বি (২২)। আহতদেরকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্ধের কারণে রায়পুরা উপজেলা যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে অদ্য শনিবার ভোরে উভয় পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে এক পর্যায়ে রুবেলের চাচা মানিক মিয়া পার্শ্ববর্তী সাবেক ইউপি সদস্য বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদের সমর্থকরা মানিক মিয়াকে ধরে তার বাম পাটি হাটু থেকে কেটে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলে মানিক মিয়া মারা যায়। অপর দিকে অন্য এক বাড়ীতে সাবেক ইউপি সদস্য কল্পনা বেগমকে ধরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জব্বার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।