রাকিবুল ইসলাম সুমন
বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করতে-গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলন নস্যাৎ করে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। শেখ হাসিনা নিজে বাগেরহাটের এমপি ছিল। তার চাচাতো ভাই, ভাতিজা ও তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তার স্ত্রী সবাই মিলে বাগেরহাটসহ রামপাল-মোংলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। খুনি হাসিনা শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা কলমে বদলে অস্ত্র তুলে তাদের বিপথে নিয়েছে। এদেশের গণমানুষের দল বিএনপি। নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের খুন করেছে। গত ৫ আগস্ট খুনি হাসিনা গণহত্যা করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ভারতে বসে দেশ ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত আছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের ৩১ দফার প্রস্তাবনা বিতরণ ও সমাজে সর্বস্তরের সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও মাদকের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় জনতার প্রতিবাদ সমাবেশে গৌরম্ভা ইউনিয়নের খানজাহান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিবিদ শামিমুর রহমান (শামীম)।
তিনি আরো বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতা ভারতীয় আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় সীমান্তে আমাদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করে তারা। আমাদের দেশে পানির অভাব, আমাদের তিস্তার পানি তারা দেয় না। এদেশের লাখ লাখ জনতা পতাকার জন্য জীবন দিয়েছেন। আমাদের আগামীতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এদেশের গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছিল। আগামী দিনে তারেক রহমান এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে বলে আমরা আশাবাদী। কেউ যদি হাসিনার মত গণতন্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার দুঃসাহস দেখায় এদেশের কোটি কোটি মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য রাস্তায় নামবে। সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ বাংলাদেশে থাকবে না, আমরা সবাই বাঙালি এটাই আমাদের পরিচয়। বিগত দিনে রামপাল-মোংলার মানুষকে সরকারি নানারকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। খালেক তালুকদার চোর আখ্যা দিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মোংলা বন্দর থেকে চাকরিচ্যুত করেছে। বহিরাগতদের চাকরি দিয়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিয়েছে। এ ধরনের অত্যাচার মানুষ আর মেনে নিবেনা। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। দলে কোন দুষ্কৃতকারীর জায়গা হবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাষ্ট্র গঠনে কাজ করার জন্য বলেন এ বিএনপি নেতা।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আলম মুন্সি, মুরাদ আকুঞ্জি, ফিরোজ আকুঞ্জি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোঃ আলম, লাভলু ফকির, মিলন আকুঞ্জি, আল আমিন, সৈয়দ কুদরতি ইলাহি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সাবেক সহসম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রিপন।
সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মিছিল সহকারে যোগদান করেন