আজ ৭ই ডিসেম্বর শনিবার, ঠিক দুপুর একটায় , সেন্টার ফর স্ট্রাগলিং ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে, বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন, ধর্মতলা লেলিন মূর্তির সামনে বিভিন্ন জেলার থেকে কয়েকশো ইউনিয়নের শ্রমিকরা জমায়েত হয়ে মিছিল করে কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে যান এবং বিভিন্ন দাবী নিয়ে প্রথম সম্মেলন সফল করতে প্রকাশ্য সমাবেশ করলেন।
এই সমাবেশ এর মূল উদ্দেশ্য কিছু দাবি পূরণ এবং শ্রমিক ইউনিয়নকে শক্তি শালী করা, এমনকি ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া,
এই উদ্যোগ SWCC-MSK- HPEU-SGU মিলিত ভাবে গঠিত হয়েছে।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, অমিতাভ ভট্টাচার্য, অভিজিৎ রায় AWBSRU, রানা জানা SSC, সন্দীপ দাস গুপ্ত AIFTU, Mukul ,Suman, Anita, টি. শ্রীনিবাস GS,IFTU, গৌতম NTIU, কানাই GS,IFTU.. জে পি BNASU সহ অন্যান্যরা ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা।
RALLY শুরু হওয়ার সাথে সাথে, শ্লোগানের মধ্য দিয়ে শ্রমিকরা তাহাদের নিপীড়ন ও শোষণ যাতে বন্ধ হয় তার স্লোগান দিতে থাকেন, এবং সরকারকে ধিক্কার জানাতে থাকেন, সমস্ত কি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
তারা বলেন ভারতের বুকে, শ্রমিকদের উপর দেশি-বিদেশি কর্পোরেট পুঁজিপতি ও কেন্দ্রের ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং অন্যান্য শাসক দল গুলোর আক্রমণ যখন প্রতিদিন ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, পাশাপাশি তাদের অনুগামী প্রতিষ্ঠিত ট্রেড ইউনিয়নগুলো সমঝোতা আর আত্মসমর্পণ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ দেখতে পাচ্ছেন না। আজ এই শ্রমিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করতেই, কলকাতার বুকে, বিভিন্ন জেলার শ্রমিকদের একত্রিত করে আন্দোলনে নেমেছে,
গৃহ শ্রমিক, জুট শ্রমিক, ডেলিভারি শ্রমিক, কয়লা খনির শ্রমিক, বিএসএনএল শ্রমিক, ওএনজিসি শ্রমিক, গ্রামীণ মনোরেগা শ্রমিক, চা বাগানের শ্রমিক, শিল্পাঞ্চল এর শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক সকলে একত্রিত হয়ে আজ আন্দোলনে সামিল হলেন।
সরকারের কাছে তাহাদের দাবি গুলি হল,
শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।
শ্রমিকদের স্বার্থে শ্রম আইন বদল করতে হবে।
রেল বীমা কয়লাখনি বেসরকারিকরণ করা চলবে না। অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ন্যূনতম বেতন ২৬ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে।
ঠিকা প্রথা নীম ট্রেণীং এর নামে শ্রমিক শোষণ বন্ধ করতে হবে।
বন্ধু চা বাগান খুলতে হবে, বকেয়া বেতন ও বোনাস দিতে হবে।
গৃহকর্মীদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও সামাজিক নিরাপত্তা দিতে হবে।
সমান কাজের জন্য সমান বেতন দিতে হবে।।
নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
স্থায়ী কাজে স্থায়ী চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ধর্ম ও জাতের নামে বিভাজনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
আজ প্রায় কয়েকশো শ্রমিক এই সমাবেশে যোগ দেন এবং আন্দোলন করেন। সমাবেশ কে সফল করে তুলেন। এবং সরকারের কাছে দাবিগুলি তুলে ধরেন।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা (ভারত)