গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া সংবাদদাতা ঃ শেখ কামরুজ্জামান ( রানা )।
পরকীয়াএকটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমানে এটা সমাজে সচারআচার দেখে দিয়েছে । কোটালিপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের সিতাই কুন্ডু গ্রামের আতাউর কাজীর ছোট ছেলে মো: জাবির কাজী (১৭) ও মো: ফায়েক হাওলাদারের মেয়ে ঝর্না খানম (১৬)নামের দুজনকে গতকাল রাত ২ টার সময়ে পরকীয়া করার সময়ে স্থানীয় জনগনের হাতে ধরা পড়ে। আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হাওলাদারের নিজ বসত বাড়ীতেএ ঘটনাটি ঘটে। কানাঘুষার এক পর্যায় স্থানীয় গণ্যমান্য মুরব্বি ও সমাজকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন।একটি সালিশি হয়,তারা হলেন, আওলাদ হাওলাদার,রফিকুল হাওলাদার, মিজান শেখ,সামচেল হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার ও গ্রামের চৌকিদার আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে ছেলে এবং মেয়েকে চৌকিদার আবুল হোসেন এর নিজ জিম্মায় রাখতে বলেন স্থানীয় সালিশ। চৌকিদার আবুল হোসেন ছেলের মামাত ভাই সুবাধে তাকে পালানোর সুযোগ করে দেয় বলে অভিযোগ এলাবাসীর। স্থানীয় সালিশদের মধ্যে কথা ছিল আজ সকাল ১০ ঘটিকার সময় এর সমাধান হবে কিন্তু ছেলে পালাতক থাকায় এটা সম্ভব হয় নাই ।
আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন জাবির কাজী বাথরুমের নাম করে পালিয়ে যায়। আতাউর কাজীর কাছে তাহার ছেলের খোজ নিতে গেলে তিনি অসুস্থ বলে কোন বক্তব্য দেন না। যেখানে তার কিছু সময় আগে তার ছেলেকে মটর সাইকেল যোগে নিজে পালাতে সাহায্য করেন। ছেলের বড় ভাই জাকির বলেন আমি আমার ভাইয়ের কোন খোজ জানিনা, জাবির এর বড় ভাই জাকির কাজী গত বৎসর এরকম পরকিয়া করে ১ লক্ষ্য টাকা জরিমানা দেন। স্থানীয়রা বলেন মেয়ে ঝর্না যেন কঠিন বিচার পায় এই দাবি আপনাদের মিডিয়া ও প্রশাসন ভাইদের উপর। ঝর্না খানমের কাছে জানতে চাইলে বলেন জাবির কাজির সাথে আমার ৫ মাস আগের থেকে প্রেম চলছে। তারই সুবাদে জাবিরের সাথে এ পর্যন্ত ৩/৪ বার শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি। গতরাতেও আমরা মিলনের সময়ে ধরা পড়ি।এমত অবস্থায় জাবিরের সাথে আমার বিবাহ না হলে আমি আর্তহত্যা করতে বাধ্য হবো। আপনারা আমার জাবিরকে আমার করে দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হাওলাদার বলেন আমরা শলিসরা অতি দ্রুত জাবিরকে এনে বিবাহর ব্যবস্থা সম্পূর্ণকরবে বলে মিডিয়ার ভাইদের আশ্বস্ত করেন।