আজ ৯ই ডিসেম্বর সোমবার, ঠিক দুপুর দেড়টায়, গোলপার্ক শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের, তুরীয়নন্দ হলে, শ্রী দীপক কুমার ভট্টাচার্যের ….., শ্রী রাধাকৃষ্ণের উৎস সন্ধানে….. গ্রন্থটি প্রকাশ পেল। এই গ্রন্থটির শুভ সূচনা করলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার এর সম্পাদক স্বামী শ্রী সুপর্ণা নন্দ মহারাজ।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার এর সম্পাদক শ্রী সুপর্ণা নন্দ মহারাজ, শ্রীধাম বৃন্দাবন থেকে আগত মহারাজ শ্রী রাধারমন দাস বাবাজী, আই এ এস, ও গ্রন্থটির মুখ বন্ধ লেখক শ্রী নীলাঞ্জন শান্ডিল্য। ব্যাকরণ ও স্মৃতিতীর্থ র কেদারনাথ চক্রবর্তী, কাব্য ব্যাকরণ তীর্থের শ্রী জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। ভজন ও সংগীতে শ্রী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপ্তি ভাষণ দেন, রিটায়ার্ড ডব্লিউ বি সি এস (এক্সিকিউটিভ) এবং ভূতপূর্ব জয়েন সেক্রেটারি ,পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং গ্রন্থাগারের শ্রী দীপক কুমার ভট্টাচার্য্য, এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করলেন, আই আর এ এস এবং শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা মাতার ভক্তি মতী সাধিকা শ্রীমতী রঞ্জনা মুখার্জী। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য সদস্যবৃন্দ রামকৃষ্ণ মিশনের।
অনুষ্ঠান সূচনার সাথে সাথে, মঞ্চে উপবিষ্ট সকল অতিথিদের উত্তরীয় ও পুষ্প স্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান। এবং শ্রী রাধা কৃষ্ণের ভজন ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আজকের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ও…… শ্রী রাধা কৃষ্ণের উৎস সন্ধানে…. গ্রন্থটি প্রকাশ পেল।
এই গ্রন্থটির মধ্যে রয়েছে সকল ভগবত ভক্তদের কথা, শ্রী রাধা কৃষ্ণের ৭৬ টি লীলা ও তাহার বিশ্লেষণ, শ্রী রাধা কৃষ্ণের রাসলীলার অভূতপূর্ব বিস্তৃত ব্যাখ্যা এবং ক্রীড়াস্থলের কাহিনী সম্বলিত এবং অনেক পৌরাণিক অজানিত অপ্রকাশিত তথ্য । শ্রী রাধাকৃষ্ণের অনুগৃহীত সেবক শ্রী দীপক কুমার ভট্টাচার্য্য কর্তৃক রচিত এটি দ্বিতীয় গ্রন্থ। তাহার কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশ করা সম্ভব হল বলে জানান। প্রথম খন্ডে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হইতে মর্তে আবির্ভাব লীলা পর্যন্ত রয়েছে, আজকের দ্বিতীয় খন্ডে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হইতে মথুরা গমন পর্যন্ত ব্রজলীলা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হইলো যে শ্রীকৃষ্ণের লীলার বয়সকাল নির্ণয় করিয়া chronologically এখানে দেখানো হইয়াছে। শ্রীকৃষ্ণের শ্রী রাধা ও গোপী গনের শহীদ মধুর প্রেম লীলা স্বকীয়া না পরকীয়া তা বিশ্লেষণ করা হয়াইছে, এই গ্রন্থের আরেকটি বিশেষত্ব এই যে প্রত্যেকটি লীলার পৌরাণিক কাহিনীর ও তথ্যের সঠিক বিবরণের উৎস অর্থাৎ কোথা হইতে সংগৃহীত হইয়াছে তা প্রমাণ হিসাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পাঠক পাঠিকাদের অবগতির জন্য উল্লেখ করা হইয়াছে। শ্রী রাধা ও শ্রীরাসলীলার এত বিস্তৃত বিবরণ ও বর্তমানে কোন গ্রন্থে দেখা যায় না বলিয়া লেখকের ধারণা।
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে বিশেষ অতিথিরা বলেন, তিন বছরের প্রচেষ্টায়, যে গ্রন্থটি মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, এবং দীপক কুমার ভট্টাচার্য মহাশয় আমরা গর্বীত,, ৮০ বছর বয়সে এবং তিন বছরের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে গ্ৰন্থটি যেভাবে প্রকাশ করলেন , এবং গ্রন্থটির মধ্যে যে সকল বিষয় তুলে ধরেছেন, আশা করি বইটি পড়ে সকলের মন কারবে, বেশ কিছু অজানা তথ্য মানুষের সামনে ও সদস্যদের সামনে উঠে আসবে ও জানতে পারবেন, যা আগে কখনো জানা ছিল না,
লেখক দীপক কুমার ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলেন, আমি গর্বিত সবার কাছে, আজকের অনুষ্ঠানে সবাইকে পাশে পেয়ে, এবং আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য, কৃতজ্ঞ সকল রাধা কৃষ্ণ অনুগামী শ্রীকৃষ্ণ অনুজ্ঞামী ও বৃন্দাবনবাসীদের জন্য, যাহারা আজ আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চে উপবিষ্ট হয়েছেন, আমি আশা রাখি আমার বন্ধুটি পড়ে অনেক অজানা জানতে পারবেন, আমি কৃতজ্ঞ শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার এর সকল মহারাজদের কাছে ,যাহারা আমাকে এইরকম একটি মঞ্চে সুযোগ করে দিয়েছেন।। কৃতজ্ঞ মিডিয়া বন্ধুদের কাছে, যাহারা আজ অনুষ্ঠানে এসে আমার এই অনুষ্ঠানকে প্রসারীত করার চেষ্টা করেছেন। সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। গ্রন্থটিকে সকলের সামনে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা (ভারত)