কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আদালত পাড়ায় ইসকন সদস্যদের ভাংচুর, বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় দুই যুবদল কর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে বাকলিয়া থানা যুবদল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া এলাকার যুবদল কর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুরু বাকলিয়া বউবাজার মাস্টারপোল এলাকায় বসবাস করেন এবং পোশাক শিল্প কারখানায় লোডিং আনলোডিং এর কাজে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন ধরে যুবদল কর্মী হিসেবে তারা দলের সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছেন।বিএনপি আয়োজিত ২০২৪ সালে তারুণ্যের রোডমার্চসহ দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে এই দুই যুবদল দল কর্মী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
গত ২৬ নভেম্বর এই দুই যুবদল কর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুরুকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের ভাংচুরের মামলায় পুলিশ নগরীর টেরিবাজারস্থ বক্সিরহাট বিট এলাকা থেকে আটক করে। ঐদিন রাত আটটার সময় দুই যুবদল কর্মীকে আটকের পর রাতভর বক্সিরহাট পুলিশ বিটে বসিয়ে রাখা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কোনরূপ তথ্যপ্রমাণ না পেয়ে পুলিশ দুই যুবদল কর্মীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরদিন কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৪৩ (১১)২৪ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে মাননীয় আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করে।
পরবর্তীতে এই দুই কর্মীর জামিনের জন্য চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে ইসকনের ঘটনায় জড়িত মর্মে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। অথচ উক্ত মামলায় যে ১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র এই দুই মুসলিম যুবদল কর্মীকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানির জন্য সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার ধারে কাছেও ছিলেন না। ঘটনার সময় এই দুই যুবদল কর্মী তাদের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করলে সত্য উদঘাটিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
এসময় নগর যুবদল নেতা মো: জোবেদ, চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন,চকবাজার থানা যুবদল নেতা মো:সোহেল, ১৭নংওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ রায়হান উপস্থিত ছিলেন।