মোঃআনজার শাহ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে “নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা—মানবাধিকারের সবার সমতা” প্রতিপাদ্যে কুমিল্লায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নৈয়াইর বাজারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটি, কুমিল্লা জেলা শাখা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির উপদেষ্টা জনাব নূরআলম ভূঁইয়া (আলম)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৈয়াইর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাও. মোঃ জসীম উদ্দিন মিয়াজী, নৈয়াইর ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব ফেরদৌস রহমান, এস.আর. আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব শাহীন আহম্মেদ চৌধুরী, নৈয়াইর সায়েন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ইঞ্জি: হেলাল উদ্দিন শিকদার, কাদিয়ারভাঙ্গা বেগম রহিমা-রোশন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাংবাদিক শরীফ প্রধান, অত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আনজার শাহ, সাবেক মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক প্রধান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইঞ্জি: আশেক উল্লাহ, আইনজীবী সহকারী মোহাম্মদ আলী, সমাজসেবক মোঃ জয়নাল সরকারসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটি, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রাসেল রাফি এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম এবং সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।
বক্তারা মানবাধিকার সুরক্ষায় আইনি সচেতনতা, সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, “মানবাধিকার কেবল আইন নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে তার নিজের এবং অপরের অধিকারের বিষয়ে।”
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সমাজে মানবাধিকার রক্ষায় চ্যালেঞ্জ থাকলেও সবাই একসঙ্গে কাজ করলে তা সম্ভব। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইনি সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আলোচনা সভার পরে নৈয়াইর বাজারে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি বাজার প্রদক্ষিণ করে মানবাধিকার সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। আয়োজকরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই ধরনের কার্যক্রম আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান।