মাসুদ রায়হান মনিরামপুর, যশোর, প্রতিনিধিঃ।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কোনাকোলা বাজারে পাইপ ফিটিংস ব্যবসায়ী মোঃ জহরুল ইসলাম কে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ ডিসেম্বর রাতে। ঘটনার বিবরন ও সরেজমিনে জানা যায় মনিরামপুর উপজেলার গোবিন্দ পুর গ্রামের খোরশেদ সানার পুর্ত জহরুল ইসলাম ঘটনার দিন রাতে ১০ ডিসেম্বর নিজ গ্রামে ওয়াজ মাহফিলেও ছিলেন, হটাৎ একটা ফোন আসে যে দোকানে আসার জন্য, জহরুল তার সাথে থাকা লোকজনদের বলে তুমরা থাকতে লাগো আমি কোনাকোলা বাজারে দোকানে যেয়ে আসি আমাকে ফোন করেছে কিছু মালামাল নেবে দোকান থেকে এই কথা বলে জহরুল তার নিজের মোটর সাইকেল যোগে মাহফিল থেকে বেরিয়ে আসে কেনাকোলা বাজারের দোকানের উদ্দেশ্য একথা বলেন জহরুলের বড়ো ভাই নজরুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে বা জহরুলের কাছে সেই ফোন টি করেছিল রাত আনুমানিক ৮/৯ টার দিকে।
জহরুলের ফিরিয়ে দেরি হওয়াই বড়ো ভাই নজরুল বারংবার ফোন করে যাচ্ছিল তার কাছে কিন্তু ফোন রিসিভ হচ্ছে না, তারা সরারাত বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে জহরুলের কোন খবর পাইনি সকালে ১১ ডিসেম্বর মনিরামপুর উপজেলার কোনাকোলা বাজার ভায়া চিনেটোলা সড়কের বাটবিলা গ্রামের গড়ভাঙ্গা সংযোগ সড়কের পাশে লাশ দেখতে পায় পথচারীরা এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে জহরুলের পরিবারের লোকজন ছুটে এসে দেখে যে তাদের ভাইয়ের লাশ।
সরেজমিনে দেখা যায় গলা কেটে ও মুখের দাতউপড়ে নিশংসভাবে বীভৎস অবস্থায় পড়ে আছে জহরুলের মরাদেহ।এঘটনায় এলাকায় চরম হতাশা আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে কে বা করা এই ঘটনার সাথে জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে জহরুলের বড়ো ভাই নজরুল বলেন আমরা কিছু জানিনা বা আমাদের এমন কোন শত্রু তাও কারো সাথে নাই। অন্য দিকে কোনাকোলা বাজারে অনেক দোকনিরা জানান জহরুল অনেক দিন জহরুল আমাদের বাজারে ব্যবসা করছে সে সদালাপি একজন ভালো মানুষ ছিল।
এরিপোর্ট লেখা পর্যান্ত পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছিলো তবে এ বিষয়ে পুলিশ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।