আজ ১১ ই ডিসেম্বর বুধবার, মেন্দিপুর জেলার দীঘায় যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছিল, তার শুভ সূচনা হতে চলেছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, এমনটাই জানালেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করা হচ্ছে।
যাহারা দায়িত্বে থাকছেন, ডি এম এস পি লোকাল বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট এবং লোকাল জগন্নাথ মন্দিরের পূজারী, তাদেরকে নিয়ে একটি ১৫ জনের ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন তিনি জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন, সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি , চিপ সেক্রেটারী জেলা পুলিশ সুপার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সম্পাদক তপন মিশ্র, উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ইসকনের সাধারণ সম্পাদক রাধা রামন প্রভু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন , দীঘায় ঘুরতে এসে জগন্নাথ মন্দিরের কথা মনে হয়, তখনই আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করি, আর সেখান থেকেই এই জায়গাটি যেহেতু পড়েছিল, তাই সেই জায়গা যাতে বেদখল না হয়ে যায় , তার জন্য এই জগন্নাথ মন্দিরের পরিকল্পনা। কুড়ি একর জায়গার উপরে গড়ে উঠেছে এই মন্দির, ইতিমধ্যে আড়াইশো কোটি টাকা খরচ হয়েছে, মাসির বাড়ির জন্য সরকারের আরও কিছু টাকা খরচ করা হয় বলে তিনি জানান। মন্দিরটি পুরীর আদলেই তৈরি করা হচ্ছে।
মন্দিরে 12 জন পুরোহিত নিয়োগ করা হবে, যার মধ্যে ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট থেকে চারজন, লোকাল পূজারী থেকে চারজন, এবং ইস্কন থেকে চারজন নিয়োগ করা হবে বলে জানান। এছাড়াও অন্যান্য কাজের জন্য বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা হবে, উদ্বোধন করা হবে এ বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, অক্ষয় তৃতীয়া উদ্বোধন হয়ে গেল তিনি জানান আমি উল্টো রথের দিন এখানে রথ টানবো।
এটি কোন রাজনৈতিক দ্বারা পরিচালিত হবে না , ট্রাস্টি এটিকে পরিচালনা করবেন, আমরা কেবলমাত্র দেখভাল করবো বলে তিনি জানিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মন ট্রাস্টকে দুটি স্টল দেওয়া হবে। এছাড়াও এখানেই একটি পুলিশের আউট পোস্ট থাকবে এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ একটি বোর্ড তৈরি করা হবে, যারা এই মন্দিরটিকে পরিচালনা করবেন।।
যারা পুজো করবেন তাদের জন্য থাকার ঘর বিশেষ করে থাকবে, পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যা না পান সেদিকেও নজর রাখা হবে। তিনি জানান পুরীতে যেভাবে পণ্ডা প্রথা রয়েছে, এখানে তিনি সেই পন্ডা প্রথা চলবে না বলে তিনি জানান, তিনি আরো বলেন জগন্নাথ মন্দিরে যেভাবে প্রতিদিন ধ্বজা পরিবর্তন করা হয়, অনুরূপভাবে এখানে সিঁড়ি তৈরি করা হবে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , পশ্চিমবঙ্গ।