ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
কাঁঠালিয়া উপজেলা সদর ৪নং ইউনিয়ন কৃষক নিরঞ্জন চঁন্দ্র মিস্ত্রি রাস্তার পাশের পরিত্যক্ত জমিতে বাঁশের মাচায় লাউ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। বর্তমান কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ ও প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতায় এই লাভবান হচ্ছে কৃষক নিরঞ্জন চন্দ্র মিস্ত্রি। প্রায় ৬৫ শতাংশ বিশ খলী নদীর রাস্তার পাশে এই লাউ চাষ করেছেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়া লোকজন গাছে গাছে ঝুলে থাকা লাউ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন, অনেকে সেলফিও তুলছেন।নিরঞ্জন চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, "আমি বিভিন্ন ফসলের চাষ করি। রাস্তার পাশে অনাবাদি জমি পড়ে থাকায়, বর্তমান কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে লাউ চাষ শুরু করি।"রাস্তার পাশে প্রায় ৬৫ শতাংশ জমিতে বাঁশের খুটি ও মাচা বানিয়ে লাউ গাছের চাষ শুরু করি। লাউ ভালোই ধরেছে এবং বিক্রিও শুরু করেছি।
"তবে রাস্তা ফাঁকা থাকায় রাতে ২/৪টি করে লাউ চুরিও হয়। এরপরেও এই লাউ চাষে ভালই লাভ হবে আশা করছি। এখনও ১ লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি করবো তাই এর সাথে এবার খিরই চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, "রাস্তার পাশের লাউ দেখে এলাকাবাসী আগ্রহী হচ্ছেন এবং অনেকে লাউ কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, অল্প জমিতেও সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো ফসল ফলা সম্ভব।কাঁঠালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান বিন ইসলাম বলেন,লাউ একটি উচ্চমূল্যের লাভজনক ফসল। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিসমূহ যেমন থ্রি জি কাটিং, হাত পরাগায়ন, সুষম সার ব্যবস্থাপনা, ফেরোমন ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত ফসল পাওয়া যাবে "কৃষক নিরঞ্জন চন্দ্র মিস্ত্রি রাস্তার পাশের অনাবাদি জমিতে বাঁশের মাচায় লাউ চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তার লাউ চাষে আমরা বিভিন্ন রকমের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।
সামীর আল মাহমুদ
ঝালকাঠি।