ওবাইদুল হক, টেকনাফ প্রতিনিধি
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারে বাড়ি ও ঘেরাবেড়া নির্মাণের জন্য সংরক্ষিত লোহার রড সিমেন্ট ও অন্যান্য মালামাল তথা নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে অদ্য ১৫ ডিসেম্বর টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
জানা যায় টেকনাফের নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার লাল মুহাম্মদের পুত্র নুরুল আলম ভিটে বাড়ির জন্য উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমিতে কিছুদিন পূর্বে রড সিমেন্ট অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী মওজুদ করে। পাশাপাশি ছোট্ট একটি বসতবাড়ি ও নির্মাণ করে। সম্প্রতি জায়গা জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশীভূত হয়ে উক্ত জমি জবর দখলের হীন মানসে নুরুল আলমের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমির বাউন্ডারির ঘেরা ভেড়া তছনছ ও নির্মাণসামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, আমাদের জানামতে উক্ত জমি পৈত্রিক সূত্রে নুরুল আলম প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখলে ছিল এবং আছে। জমি থেকে উচ্ছেদ করতে নুরুল আলম গংদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেও হেরে যায় প্রতিপক্ষ মুহিব্বুল্লাহ গং। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের মামলা ১৪ আগষ্ট খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত। এতে তাদের ক্ষোভ আরো বৃদ্ধি পায়।
আওয়ামী দোসর খ্যাত মুহিব্বুল্লাহ গত কিছুদিন যাবত লাঠিয়াল,ভাড়াটে ডাকাত জোগাড় করে। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর গভীররাতে ছৈয়দ আলমের পুত্র মুহিব্বুল্লাহর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের স্বশস্ত্র মুখোশধারি লোক নুরুল আলমের ভোগ দখলীয় জমির ঘেরাবেড়া তছনছ করে। পরে স্বশস্ত্র দুর্বৃত্তরা নতুন ঘর নির্মাণের জন্য রক্ষিত প্রায় ৬ লাখ টাকার রড,সিমেন্ট লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে নুরুল আলমের পুত্র ইউনুছ কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখ বেঁধে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন লোকজন শোর চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় মামলা করলে তুলে নেয়ার ও হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে অদ্য ১৫ ডিসেম্বর (১৫/১২/২০২৪) টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে টেকনাফ থানার অফিসার ইন্চার্জ সরে জমিনে তদন্তের জন্য এস,আই শামিম কে দায়িত্ব দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনসমক্ষে যাচাই বাছাই করেন। এ সময় একদল মিডিয়া কর্মী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানায়, বিষয়টি মামলার পক্রিয়াধীন রয়েছে।