শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন আজ লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করার দিন। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। সাধারণত বিজয়ী হওয়া আনন্দের। তবে মরণপণ করে সশস্ত্র যুদ্ধে শত্রুকে পরাজিত করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের যে বিজয়, তার কোনো তুলনা নেই। আজ জাতির জন্য চিরগৌরবময় অবিস্মরণীয় এক দিন। স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশ ও পৃথিবীর মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আলোকোজ্জ্বল দিন আজ।
তবে একই সঙ্গে দিনটি গভীর বেদনারও। দেশ-জাতিকে পরাধীনতার নিগড়মুক্ত করতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা। অগণিত মা-বোন তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। জানমালের ক্ষতি হয়েছে অপরিমেয়। কৃতজ্ঞ জাতি আজ এই বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে আত্মদানকারী সেই শহীদদের। স্মরণ করবে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। সারা দেশের সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার, জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করবে। ডুমুরিয়ায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পতাকা ও ফুল হাতে নামবে অগণিত মানুষের ঢাল। সারা দেশের ন্যায় খুলনার ডুমুরিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উপজেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মহান বিজয় দিবস’-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির পর উপজেলা স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে স্বাধীনতা স্তম্ভে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাব, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাঙালি অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয় দিবস, বাঙ্গালির অহংকার। ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। সকাল ১০ ঘটিকার সময় ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ চত্বর মাঠে উপজেলা বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসেন, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদ রানা।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন তুহিন,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান রিগান,ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম,সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কাজল মল্লিক,উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস,পল্লি দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র দাস,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসি রানী রায়,উপজেলা পল্লি বিদ্যুৎ ডিজিএম মোঃপ্রকৌশলী রমজান আলী,পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ মাজেদুর রহমান,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ কুমার মল্লিক,উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ প্রশান্ত কুমার পাল, রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মনির হোসেন,সমবায় কর্মকর্তা সরদার জাহিদুর রহমান, সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১ টার সময় উপজেলা স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। দুপুর ২ ঘটিকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্ব-স্ব ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করেন ।