মারুফ সরকার, প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরামের গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ৭৭.১%: হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই হিসেবে তারেক রহমান বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরামের গবেষণা প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরামের এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার বক্তব্য এবং কার্যক্রম সম্পর্কে ৭৭.১% মানুষ ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন।
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ইতিবাচক মতামতের হার ৭৭.১%, যেখানে ১৪.৩% নিরপেক্ষ এবং মাত্র ৮.৬% নেতিবাচক। গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে প্রধান টেলিভিশন চ্যানেল এবং ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে জনাব তারেক রহমানের ১২টি বক্তব্য সম্পর্কিত কমেন্টের উপর ভিত্তি করে ডেটা মাইনিং এবং অ্যানালাইটিক্স।
গত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জনগণের মতামতের গতি-প্রকৃতি নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। সময়ের সাথে সাথে ইতিবাচক মতামতের হার বেড়েছে, যা তারেক রহমানের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতার উত্থানকে নির্দেশ করে।
তারেক রহমানের “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” এবং ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান জনগণের কাছে তাঁকে একজন শক্তিশালী ও প্রত্যাশিত নেতা হিসেবে তুলে ধরেছে। তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশাবাদ দেখা দিয়েছে।
গবেষণাটি সম্পন্ন করতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কমেন্ট সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে “ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং” পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হয়।
তারেক রহমানের এই জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন বিএনপি আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন শক্তি অর্জন করছে।
এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানের প্রতি আস্থা রাখছে।