আশরাফুল আলম রিপন।
কলামিস্ট ও উন্নয়ন গবেষক।
২০২৪ অর্থ বছরের শেষে শুধু ডিসেম্বরে এখন পর্যন্ত ১৪০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। এই ১৭ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের পুরো ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ২০২৩ অর্থ বছরের ডিসেম্বরে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ৬ কোটি ৪২ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৩ ডলার। প্রবাসী আয়ের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষে প্রবাসী আয় ২৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিদেশি রেমিট্যান্স সূত্রে জানা গেছে, এখন বেশির ভাগ ব্যাংক ১২৪ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে। সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ডলার কিনেছে ১২৪ টাকা দামে, রিয়া মানি এক্সচেঞ্জ ডলার কিনেছে ১২৪ টাকা ১৮ পয়সা দামে, টেপটেপ সেন্ড ডলার কিনেছে ১২৪ টাকা ৭০ পয়সা দামে ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ডলার কিনেছে ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা দামে। ফলে এর চেয়ে বেশি দামে দেশের ব্যাংকগুলোকে ডলার কিনতে হচ্ছে। এতে আমদানিকারকদের বেশি দামে দায় শোধ করতে হচ্ছে।
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ২২০ কোটি ডলার, যা দেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গত বছরের নভেম্বরে দেশে ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। সেই হিসাবে গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে গত নভেম্বরে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত অক্টোবরে দেশে ২৩৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। আর গত সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার ও আগস্টে ২২২ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।
প্রবাসী রেমিট্যান্সের আয়কে বলা হয় কোন দেশের ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায় পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ে ডলার এলেও কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে ডলার খরচ হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ শোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় যত বাড়বে, দেশে ডলারের সংকট তত কমবে।
সুত্র –বাংলাদেশ বাংক ও প্রবাসী কর্ম সংস্থান ব্যুরো।